পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গ জীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । ృళి পিতাকে কারারুদ্ধ করিয়া আরঙ্গজীব মুরানকে কহিলেন,— "ভাই ! এত দিনে আমার অভিলাষ পূর্ণ হইল। আজি হইতে তুমি দিল্লীর সম্রাট । এখন আমার একটী ভিক্ষ আছে, তুমি আমাকে কিঞ্চিৎ অর্থ দাও । মক্কায় গিয়া সুখস্বচ্ছন্দে কালযাপন করি"। মুরাদ সেই প্রস্তাবেই সম্মত হইলেন । আরঙ্গজীবের বাহিরে এই রপ ধৰ্ম্মনিষ্ঠ, কিন্তু অন্তঃকরণে হলাহল ; তিনি মনে মনে মুরাদের প্রাণ নষ্ট করিবার চেষ্টা দেখিতে লাগিবেন । ইতি মধ্যে সংবাদ আসিল যে, দিল্লীতে অনেক সৈন্ত সংগৃহীত হইয়াছে। শীঘ্র আগরায় আসিয়া তিনি শাজেহানকে মুক্ত করিবেন। আরঙ্গজীব তৎক্ষণাং মুরাদকে লইয়া দিল্লীর অভিমুখে চলিলেন । দুই জনে মথুরায় উপস্থিত। এই খানে মুরাদের পারিষদের কহিলেন, —“আপনি কদাচ আরঙ্গজীবের সহিত থাকিবেন না । তিনি আপনার প্রাণবিনাশের চেষ্টায় রহিয়াছেন । আমাদের পরামর্শ এই, আপনি পূৰ্ব্বেই তাহাকে বিনষ্ট করুন। নতুব। আর নিকুতি নাই” । আরঙ্গজীবকে বধ করিতে হইবে, এই রূপ যুক্তি স্তির হইল। মুরাদ জ্যেষ্ঠকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। এখানে পর্শ্বের তাম্বুতে কয়েকজন অস্বধারী লোক লুকাইয়া থাকিল, ইঙ্গিত পাইলেই তাহারা আসিয়া আরঙ্গজীবের মস্তকচ্ছেদন করিবে । মুরাদ স্বভাবতঃ অকপট ও উদার-স্বভাব। শক্রমিত্ৰ সকলের প্রতিই তাহার সমান ব্যবহার । তাই আরঙ্গ জীব নিঃশঙ্কচিত্তে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিলেন । দুই ভ্রাতা ভোজন করিক্তে বসিয়াছেন, এমন সময়ে নাজির শবাস নামক জনৈক ব্যক্তি নিকটে আসিয়া মুরদের কাণে কাণে কি বলিল। শঠতার