পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯খ ነጻ প্রবন্ধ-পাঠ । সৌভাগ্য-লক্ষ্মী তাহারই কপালে বিজয়পত্র পরাইয় দিতেন । আরঙ্গজীব যে হস্তীতে চড়িয়া যুদ্ধ করিতে ছিলেন, অস্ত্রাঘাতে তাহার প। ভাঙ্গিয়া যায় । সুজার হস্তীও আহত হয় । তুই জনেই আপন আপন হস্তী হইতে নামিয়। অন্ত হস্তীতে চড়িবার জন্ত উপক্রম করিতে লাগিলেন। মিরজুন্না, আরঙ্গজীবকে কহিলেন, “প্ৰভু ! এখন হস্তী হইতে নামিলে আপনার রাজ্য গেল জানিবেন । আরঙ্গ জীব নামিলেন না। কিন্তু সুজা আপনার হস্তী পরিত্যাগ করিয়া অশ্বের উপর গিয়া চড়িলেন । কাজেই তাহার সৈন্তের প্রভুকে আর দেখিতে না পাইয়৷ চতুর্দিকে পলাইয়া গেল । সুজা বাঙ্গালায় ফিরিয়া আসিলেন । কিন্তু আরঙ্গজীবের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মহ্মদ ও উজির মিরজুয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া বাঙ্গাল হইতেও তাহাকে দূরীভূত করিলেন। ভারতে পলাইবার আর স্থান নাই ; যে দিকে যাইবেন, সেই খানেই অরঙ্গ জীবের বিজয় পতাকা উড়িতেছে । অবশেষে তিনি অনেক ভাবিয়া আমারাকানে চলিয়া গেলেন । র্তাহার সহিত বহুমূল্য রত্ন এবং প্রার দেড় হাজার লোক ছিল । কিন্তু আরাকানের জলবায়ু অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর । দেড় হাজার লোকের মধ্যে ক্রমে ক্রমে প্রায় সকলেই মরিয়া গেল । কেবল শ-মুজা স্বয়’, তাহার দ্বিতীয় পত্নী, দুইটী পুত্র, তিনটা কষ্ঠ এবং চল্লিশ জন অনুচর জীবিত থাকিলেন । বিধাতা বিমুখ হইলে চারিদিকে বিপদ ঘটে । আরাকানের রাজা আরঙ্গজীবের ভয়ে সৰ্ব্বদা শঙ্কিজ ছিলেন। সঙ্গে বহুমূল্য হীরা মুক্ত ছিল, তাহাও কড়িয়া লইতে লোভ জন্মিল । তজ্জন্য তিনি নানা প্রকার ছল করিয়!