পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গজীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । ১০১ বলিলেন যে, তাহাকে যাবজ্জীবন গোলিয়রের দুৰ্গে আবদ্ধ রাখা উচিত। কিন্তু আরঙ্গজীবের সেরূপ অভিপ্রায় নয়,ইহা বুঝিতে । পারিয়া দুই এক জন সভাসদ কহিলেন,—“দারা নাস্তিক । নাস্তিকের প্রাণবধ ন করিলে মক্ষদের প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধাচরণ করা হয়”। এখন কথাটা টক মনের মত হইল। আরঙ্গজীব কহিলেন,—সে কথা ঠিক । দারা আমার যে ক্ষতি করিতে হয়, করুক ; আমি তাহ সহ্য করিতে পারি । কিন্তু নাস্তিকত। অসঙ্ক’ । এজন্ত সেই রাত্রিতেই তিনি দারায় প্রাণ বিনষ্ট করিবার নিমিত্ত নাজির ও সিফ নামক দুই জন অফিগান সর্দারের উপর ভার অপণ করিলেন । রাত্রি দুই প্রহর । দারার গৃহের পর্শ্বে হঠাৎ অস্ত্রের ঝন ঝন শব্দ হইল ; হতভাগ্য রাজকুমারের শোকের রাত্রি কতক জাগরণে গিয়াছে,কতক বা কাকনিদ্রায় যাইবে ; চক্ষুঃ অবসন্ন হইয়। অসিতেছে,—এমন সময়ে অস্ত্রের ঝন ঝন শব্দ কর্ণে আসিল । তৰি চমকিয় উঠিলেন ; বুঝিলেন, আজি অন্তিমকাল উপস্থিত । পুত্র ঘুমাইতে ছিল, তাহাকে জাগাইলেন। ঘাতকের দ্বার খুলিল। দারা কমলকাটা ছুর খানি লইয়। ঘরের একটা কোণে দাড়াইলেন । দুৰ্বত্তের দারার পুত্রকে পার্শ্ববর্তী একটা श्रृंtङ् বাধিয়া রাখিল । প্রথমে তাহার। মনে করিয়াছিল, গল টিপিয়া দারার প্রাণ নষ্ট করিবে । কিন্তু এরূপে প্রাণদণ্ড করা রাজপুত্রের পক্ষে ঘৃণাকর । এজন্ত দার। অসীম বিক্রম প্রকাশ কৰয় জনৈক ঘাতকের বক্ষঃদেশে আপনার ছুরী বিধিয়া দিলেন । অগত্য তাহার তরবারি দিয় তাহার মস্তকচ্ছেদন করল । দারার পুত্র সমস্ত রাত্রি পিতার রুধিরাক্ত মৃতদেহ ক্রোড়ে করিয়া কাদিতে লাগিলেন । নাজির ছিন্ন মুণ্ডটা লইয়া চলিয়। অধিল ।