পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ e২ প্রবন্ধ-পাঠ । লে দিবস সমস্ত রাত্রি আরঙ্গজীবের নিদ্রা হয় নাই । জ্যেষ্ঠভ্রাতার মৃতমুখ দেখিবেন, তবে তাহার স্বস্তি হইবে। প্রাতঃকাল না হইতেই নাজির তাহার ছিন্ন মস্তক আনিয়া দিল ; রক্তমণ্ডিত, বিত্র, বিবর্ণ- সম্রাট দেখিয়া চিনিতে পারিলেন না। কিয়ৎ কাল জলে ভিজাইয়া আপনার হস্তের রুমালে রক্ত মুছিয়া ফেলিলেন । তখন বেশ চিনিতে পার গেল । আরঙ্গজীব বলিলেন, —“হা, এই আমার দূরদৃষ্ট দারা ভাই" । এই কথা বলিতে বলিতে পাষাণ ফাটিয়া দুই এক বিন্দু জল পড়িল । ইহার পরে সলিমান ও দারার মধ্যম পুত্রকে গোয়ালিয়রের" জুর্গে আবদ্ধ করা হইয়াছিল । আরঙ্গজীবের মধ্যম পুত্ৰ মহ্মদ মেজিম দক্ষিণ অঞ্চলে ছিলেন । কি জানি, পাছে তিনি কোন বিপদ ঘটান, তজ্জন্ত র্তাহাকেও আপনার নিকট আনিয়া রাখিলেন । আরঙ্গ জীবের সহিত শিবজীর বিদ্রোহ মোগল ইতিহাসের একটা প্রধান ঘটন। কুটবুদ্ধি ও দুর্নীতি অবলম্বন করিয়া আরঙ্গজীব যে মোগল সাম্রাজ্যের পূর্ণোন্নতি দেখাইয়া ছিলেন, অনন্ত অধ্যবসায় ও অতুল সাহস প্রকাশ করিয়া শিবজী অনেকাংশে তাহার অধঃপতন করিয়া যান। আরঙ্গ জীব সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই শিবজীর উচ্ছেদ সাধনে কৃতসংকল্প হইয়া সায়স্ত থাকে দাক্ষিণাত্যের সুবাদার করিয়া পঠাইয়া দেন। সায়স্ত খণ শিবজীর উদ্দেশে পুনৰ্ব্বার দুর্গ আক্রমণ করেন, কিন্তু তিনি । সেখানে তাহাঁকে দেখিতে পাইলেন না । অবশেষে এক দিন তিনি দুর্গমধ্যে বসিয়া মদ্যপান করিতেছেন, এমন সময়ে শিবজী সসৈন্যে র্তাহাকে আক্রমণ করিয়া তাহার তিনটা অঙ্গুলি কাটিয়া দেন। দাক্ষিণাত্যে সায়স্ত। খার বিপদ শুনিয়া