পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S v 3 染 প্রবন্ধ-পাঠ । বিদ্যাভ্যাসে কখন জালস্ত করেন নাই । আরবী এবং পারসী ভাষায় তিনি সুপণ্ডিত ছিলেন । তদ্ভিন্ন ভারতবর্ষের নাম স্থানের ভাষায় তিনি কথা কহিতে ও পত্রাদি লিখিতে পারিতেন । সৰ্ব্বত্র বিদ্যালোচনার উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্ত তিনি অনেক পাঠশালা স্থাপন করিয়াছিলেন । কিন্তু কেবল বিদ্যালয় থাকিলে হয় না, তত্ত্বাবধান না থাকিলে বিদ্যালয় স্থাপন করা নিফল । সেজন্ত তিনি অনেকগুলি চতুর ও কৃতবিদ্য তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করিয়া রাখিয়া ছিলেন । মুসলমান সম্রাটগণের মধ্যে প্রায় সকলেই বিলাসী ও অপব্যয়ী ছিলেন । কিন্তু আরঙ্গজীবের এ সকল দোষ ছিল না । তিনি সচরাচর সামান্ত পরিচ্ছদ পরিয়া থাকিতেন । বিবাহ প্রভূতি সমারোহ কাৰ্য্য ভিন্ন অন্ত কোন কার্য্যে কখনও তাহার অর্থ নষ্ট হয় নাই । তিনি ভারতবর্যের নান স্থানে পথিকদিগের নিমিত্ত আশ্রম নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন । সেই সকল আশ্রমে খাদ্য সামগ্ৰীও সঞ্চিত থাকিত । প্রজামাত্রেই সম্রাটের নিকট যাইতে পারিত । বিচারালয়ে কাহারও প্রতি অন্তয় হইলে সে স্বয়ং সম্রাটকে তহি। অনায়াসে জানাইত । সুতরাং বিচারপতির ইচ্ছা করিলেই উৎকোচ লইতে পরিতেন না । সম্রাট দেখিতে স্থপুরুষ ছিলেন না, কিন্তু বিলক্ষণ মিষ্ট্রভাম্বী ছিলেন । তিনি প্রত্যহ অতি প্রত্যুষে উঠিয়া স্নান আছিক করিতেন । তাহার পর বেল এক প্রহর পর্য্যস্ত রাজকাৰ্ষ্য দেখিতেন। এক প্রহরের পর ভোজনের সময় নির্দিষ্ট ছিল । ড়োজশান্তে সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, হস্তী ও অশ্বাদি পশুর ক্রীড়াযুদ্ধ দেখিড়েন। ইহাই তাহার আমোদ আহাদ ছিল। "