পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తీ స్క్రి প্রবন্ধ-পাঠ | অত্যন্ত বিরক্ত হইয়াছিলেন । তিনি হিন্দুদিগকে মুসলমান করিবার নিমিত্ত উৎপীড়ন করিতেন । এজন্ত যে সকল রাজপুতবীরের ভুজবীৰ্য্যের জন্য তৈমুর বংশের এত প্রতিপত্তি,ঞ্জবশেষে তাহারাও সম্রাটকে ছাড়িয়া গেলেন । জারঙ্গজীবের বৃদ্ধাবস্থায় যখন চতুৰ্দ্দিকে বিপ্লব উপস্থিত হইল, তখন তাহার কেহ ফিরিয়াও দেখিলেন না। ওদিকে মহারাট্রা-নায়ক শিবজী ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নিস্থ লিঙ্গের মত লুকাইয়া ছিলেন ; ক্রমে প্রজ্বলিত হইয়। তিনিও অগ্নিকুণ্ড জালিয়া তুলিলেন । মোগল সাম্রাজ্যের অস্তর্দেশ কম্পিত হইয়। উঠিল । আরঙ্গজীবের তত তেজঃ,তত উদ্যম,—এখন আর কিছুই নাই । সে প্রখর দীপশিখা নির্বাপিত হইয়া আসিয়াছে। পূৰ্ব্বে যে সকল ছকৰ্ম্ম করিয়াছিলেন, আজি সেই পাপের জন্য র্তাহার হৃদয়ে সহস্ৰ বৃশ্চিক দংশন করিতেছে । তিনি লোকের নিকট মুখ দেখাইতে পারেন না । ক্রমে অনুতাপে ক্লিষ্ট, জীর্ণ, পাপ প্রাণ পঞ্চভূত দেহ হইতে পৃথকৃ হইয় গেল । আরঙ্গজীব শেষাবস্থায় প্রায় দক্ষিণাত্য প্রদেশেই অবস্থিতি করিতেন । আহ্মদনগক্ষেপ্তাহার মৃত্যু হয়। এইস্থানে বিবিধ মসলায় তাহার মৃতদেহ রক্ষিত করা হইয়াছিল । পরেইলোর ও গোদাবরীর সন্নিকটে রোজা নামক স্থানে তাহাকে সমাহিত করা হয় । কথিত আছে, তিনি এক প্রকার টুপী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন এবং সেই টুপী বিক্রয় করিয়াই তাহার সমাধির ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করা হইয়াছিল । ।