পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত ঈশ্বরচঙ্গবিদ্যাসাগর । ১৪৭ বীরসিংহে তন্ত্রত্য দরিদ্র বালক-বালিকাদিগের উপকারার্থ একটী অবৈতনিক বিদ্যালয় সংস্থাপন করেন। রাখাল-বালকের সমস্ত দিন অবকাশ পাইত না বলিয়া, তাহাদিগকে শিক্ষা দিবার জন্ত রাত্রিকালেও বিদ্যালয় বলিত । বিদ্যালয় স্থাপনের পর নিজ গ্রামে একট দাতব্যচিকিৎসালয় স্থাপন করেন । এই সময়ে গভর্ণমেণ্ট হইতে সংস্কৃত-শিক্ষা উঠাইয়া দিবার প্রস্তাব হয় । অনেক কৃতবিদ্য সাহেব এবং বাঙ্গালীও ঐ প্রস্তাবের সমর্থন করেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় ঐ প্রস্তাব রহিত করিবার জন্ত সবিশেষ চেষ্টত হন। ইনি তৎকালীন অনেকানেক কৃতবিদ্যগণের মত খণ্ডন করেন ; এবং যাহাতে ভারতবর্ষে সংস্কৃতশিক্ষার বহু প্রচার হয়, তজ্জন্ত গবৰ্ণমেণ্টের নিকট আবেদন করেন । বিদ্যাসাগরের আবেদন পত্র সাদরে গৃহীত হইল, এবং গবর্ণমেন্ট ভারতবর্ষের যাবতীয় বিদ্যালয়ে সংস্কৃত শিক্ষা প্রচারের জাদেশ দিলেন । এই সময়ে যাহাতে সহজেই লোক সংস্ক ত শিক্ষা করিতে পারে, তজ্জন্ত বিদ্যাসাগর সহজ সহজ সংস্কৃত পাঠ্যপুস্তক সঙ্কলন করেন । বিদ্যাসাগর কেবল স্ত্রী-শিক্ষা ও সাধারণ দরিদ্রগণের শিক্ষণপক্ষে যত্নবান ছিলেন, এরূপ নহে। ইনি ১৮৫৫ খৃষ্টাৰে বিধবাবিবাহ প্রচলন করিবার জন্ত বদ্ধ-পরিকর হন । সেই সময়ে সমস্ত স্মৃতিশাস্ত্র হইতে বিধবাবিবাহের বিষয়ে যে সকল ব্যবস্থা সংগ্ৰহ করেন, তাহাতে ইহঁার শাস্ত্রপারদশিত বিলক্ষণ ব্যক্ত হইয়াছে। নিরপেক্ষ-ভাবে ইচ্ছার মত গ্রহণ করিলে, এই মত অখণ্ডনীর বলিয়া স্বীকার করিতে হয় । এই সময়ে হিন্দুসমাজের অনেকনেক কৃতবিদ্য, সম্রাক্ত ও মুর্থ প্রভৃতি সকল শ্রেণীর লোকই