পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্ত্রচর্চা ও জ্ঞানলাভ । 创 করিতে পারে না, তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী। আত্ম-সংযম-শক্তি র্যাহার বলবতী ; অক্লিষ্ট পরিশ্রম ও অনন্ত অধ্যবসায় র্যাহার নিত্য ও প্রিয় সহচর ; যিনি সত্যনিষ্ঠ, জিতেন্দ্রিয়, স্থিরপ্রতিজ্ঞ ও কাৰ্য্যকুশল ; এবং পরনিন্দা, পরদ্বেষ, পরধনাপহরণ প্রভৃতি কুকৰ্ম্মগুলি র্যাহার নিকট কখনও স্থান লাভে সমর্থ নহে, তিনিই যথার্থ জ্ঞানবান । শাস্ত্রচর্চা এক প্রকার নিৰ্ম্মল ও অনিৰ্ব্বচনীয় আমোদ । অবস্থ-বৈগুণ্যে পড়িয়া মন বিরক্ত ও উৎপীড়িত হইলে নির্জনে বসিয়া গ্রন্থপঠি দ্বারা অতি সুখে সময় ক্ষেপ করা যাইতে পারে। বাকপটুতা শাস্ত্রপাঠের অন্ততম ফল । নানাবিধ গ্রন্থ আয়ত্ত থাকিলে যুক্তি ও লুক্তি সম্বলিত বচন-পরিপাটী দ্বারা শ্ৰোতৃবর্গের মন দ্রবীভূত করিয়। যে কোন বিষয়ে তাহাদিগকে প্রবর্তিত, উত্তেজিত ও প্রণোদিত করা যাইতে পারে। বক্ত ত{কলে প্রস্তাব্য বিষয় অতিরঞ্জিত করিয়া বর্ণন কর এবং তীক। রূপক ও উৎপ্রেক্ষা প্রভূতি অলঙ্কারে সুসজ্জিত কর। পাণ্ডিত্যপ্রকাশ-মাত্র । বিচারকালে কথায় কথায় শাস্ত্রীয় উদাহরণ প্রদর্শন করা ও অবিজ্ঞের কার্য্য । শাস্ত্রণমুশীলনে বুদ্ধিশক্তি পরিমার্জিত ও বিচারশক্তি পরিবৰ্দ্ধিত হয় । অর্থে পার্জম শাস্ত্রচর্চার চরম ফল নহে; উহ। তাহার অবাস্তরমাত্র । ধূর্ত, মূর্খ ও নাস্তিকের শাস্ত্রে দ্বেষ ও অশ্রদ্ধ। করে ; সরলচিত্ত লোকের তাহাতে শ্রদ্ধ ও ভক্তি প্রকাশ করিয়া থাকে ; এবং বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ব্যক্তিরা কার্য্যে পরিণত করিয়া তাহার সার্থকতা সম্পাদন করেন i. মৰ্ম্মগ্রহণে অন্ধ হইয়া, পুস্তক পাঠ করা অবিবেচনার কৰ্ম্ম । से