পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ, প্রবন্ধ-পাঠ । জমানিশার স্বচিভেস্থ অন্ধকারে বঞ্জাবাত-পীড়িত দ্বারস্থ ও শরণাপন্ন অতিথিকে দূরস্থ ও বিপন্ন করিতে কিছুমাত্র সঙ্কুচিত না হইয়। স্বয়ং হৃষ্টচিত্তে স্থকোমল শয্যায় শয়ন করিয়া থাকে, প্রাতঃকালে তাহাদের নামগ্রহণেও ভদ্রলোকে ষে স্বণ প্রকাশ করিয়৷ থাকেন, তাহা সৰ্ব্বথা যুক্তি-সঙ্গত। এরূপ অনুচিত অর্থলালসীগ্ৰস্ত কৃপণের অস্তিম কাল বড় ভয়ঙ্কর ও দুঃখজনক । আসন্ন কালে লোকে সংসারের মোহিনী মায়ায় স্বভাবতঃ সমাচ্ছন্ন হইয়া থাকে । নিরন্ন ও নিৰ্ব্বস্ত্র থাকিয়া যাহা এত দিন সঞ্চয় করিয়া ছিলাম, তাহ এখন ফেলিয়া যাইতে হইবে, এই ভাবিয়া কৃপণ দিন দিন অবষন্ন হইয় পড়ে। তখন তাহার পূর্বকৃতআত্ম-বঞ্চনা-স্মৃতি আসিয়া নিরন্তর তাহাকে অনুতাপানলে দগ্ধ করিতে থাকে । অর্থগৃধু লোকের অসাধ্য কিছুই নাই। অনুচিত অর্থলালস থাকিলে লোকের কিরূপ তুৰ্দ্দশা ঘটিতে পারে, মার্সস ক্রোশঙ্গ তাহার উত্তম দৃষ্টান্ত স্থল। ইনি এক জন উচ্চপদস্থ সম্রাক্ত লোকের পুত্র । রোম নগরে এক প্রকার উচ্চপদ ছিল ; সম্রাস্ত লোক না হইলে কেহই এই পদ প্রোপ্ত হইতেন না । দেশীয় লোকের রীতি, নীতি, আয়, ব্যয় প্রভূতি পৰ্য্যালোচনা করিবার ভার তাহারই উপর অপিত হইত। মাসসের পিতা নিজ গুণে এই পদ প্রাপ্ত হন । র্তাহার মৃত্যুর পর ক্রোশস্ও ঐ পদ প্রাপ্ত হইয়া সিজার ও পম্পের সমকক্ষ হইয় ছিলেন । তাহার অনেক গুলি সক,ণ ছিল ; কিন্তু এক অসঙ্গত অর্থতৃষ্ণার প্রভাবে তাহারা মলিন ও হীনপ্রভ হইয়া পড়ে। অতিথি-সৎকারে তাহার বড় আছরাগ ছিল । দ্বারস্থ শরণাপন্তু