পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । সাধনা ও প্রলোভনেও দারোগার হৃদয় বিচলিত হইল না । তিনি বিনীতভাবে বলিলেন, “কি করিব মহাশয়, বড়ই দুঃখিত হইলাম, কিন্তু উপায় নাই। আমাকে চাকরী বজায় রাখিতে হইবে তাঁ। সদরে এ বিষয়ে এত্তেল দিয়াছি, এখন আমার cकांना शङ नाझे ।” কথাটা সৰ্ব্বৈব মিথ্যা । নটবপ্ন তখনও কোন ডায়েরী করেন নাই । হতাশ হইয়া সকলে গৃহে ফিরিয়া গেলেন। যুবকদিগকে হাজতে রাখিয়া দত্ত মহাশয় পাহারার বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । এত কষ্টের শিকার যেন হাতছাড়া না হয় । পাচক আসিয়া বলিল, “বাৰু আজ তা অরন্ধন।” দারোগী গর্জন করিয়া বলিলেন, “আমার বাড়ীতে অরন্ধন ? আমি কি গ্রামের লোকগুলার মত মুৰ্থ নাকি ? আজ আরও ভাল করিয়া খাইবার যোগাড় করা চাই। একটা ইলিশ মাছ নিয়ে আয় ।” সুসানান্তে নটাবর শয়নকক্ষে প্ৰবেশ করিলেন । আজ তিনি এতক্ষণ কন্যা সুরমার সংবাদ লেইতে পারেন নাই। দত্ত মহাশয় দেখিলেন, শষ্যার উপর শুইয়া সুরমা রামায়ণ পড়িতেছে। পিতাকে আসিতে দেখিয়া বালিকা উঠিয়া বসিল। আজ তাহার মুখ এত মলিন কেন ? সুরমার নয়নপল্লবে তখনও দুই বিন্দু অশ্রু দুলিতেছিল। দুঃখিনী সীতার বনবাসন্ধুঃখ স্মরণ করিয়া বালিকার কোমল হৃদয় কি ব্যথিত হইয়াছিল ? oyo