পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । তোমাদেরই দারোগাবাবুর মেয়েটি পুড়িয়া মরিতেছে ? আমরা কােজ সারিয়া আবার ধরা দিব ; পলাইব না।” দ্বিতীয় বাক্য ব্যয়ন করিয়া রমেশ সর্বাগ্রে একখানি সতরঞ্চি তুলিয়া লইলেন ; এক কলসী জলে ক্ষিপ্ৰহস্তে উহা ভিজাইয়া লইয়া তিনি তাহার দ্বারা সৰ্ব্বাঙ্গ আবৃত করিলেন ; তার পর অবলীলাক্রমে প্ৰজ্বলিত দ্বারপথে কক্ষমধ্যে প্ৰবেশ করিলেন। অন্যান্য যুবকগণ তখন অগ্নিনির্বাণকাৰ্য্যে পরম উৎসাহে যোগদান করিল। তাহদের প্রফুল্ল মুখে ঘন ঘন মাতৃনাম উচ্চারিত হইতেছিল। এক এক জনের হস্তে অসুরের ন্যায় শক্তি সঞ্চারিত হইয়াছিল । তাহারা ঘরের চাল ও বেড়া কাটিয়া ফেলিতে লাগিল। যুবকদিগের উৎসাহ ও উত্তেজনায় সমবেত সকলেই দ্বিগুণ উৎসাহে আগুন নিভাইবার চেষ্টা कgिऊ व्ाब् ि। রমেশচন্দ্ৰ বালিকা সুরমার সংজ্ঞা শুন্য দেহ সযত্নে ও সাবধানে সিক্ত সতরঞ্চি দ্বারা আবুত করিয়া দ্রুতপদে কক্ষ হইতে নিস্ক্রান্ত হইলেন। দত্তমহাশয়ের অচৈতন্য দেহের পার্শ্বে তাঁহাকে স্থাপিত করিয়া তিনি দারোগার চৈতন্য সম্পাদনে ব্যস্ত হইলেন । সমবেত ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের ফলে অগ্নি অল্পক্ষিণমধ্যে নির্বাপিত হইল। তখন বন্দে মাতরম ধ্বনিতে আকাশমণ্ডল পরিপূর্ণ করিয়া সেবক-সম্প্রদায় দারোগার পাশ্বে আসিয়া দাড়াইল । S).