পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; স্তকের মূল্য। করিবার চেষ্টা করিয়াছি। সমাজে ফিরিয়া যাওঁ, মানুষের সংস্রবে জন্মভূমির প্রকৃত চিত্র, যথার্থ অবস্থা দেখিতে পাইবে। তখন, ৰৎস, অধীর হইও না, সে দৃশ্য দেখিয়া হতাশ হইবার প্রয়োজন নাই। শিক্ষা ও সংযমের বলে হৃদয় দৃঢ় করিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রের সহস্ৰ বিপদ ও বাধাকে বরণ করিয়া লইও । আশীৰ্ব্বাদ করি, আমার আশৈশব সাধনা, যৌবনের স্বপ্ন তোমার দ্বারা সার্থক ও সফল হইবে।” “আশীৰ্বাদের ঝুলির মুখটা কি কেবল আমার বেলাই বন্ধ, গুরুজী! দাদার মত গীতা, দর্শন কাব্য কি আমিও পড়ি नाझे ठांकूद्र ?” অজয় সিংহকে সহসা সম্মুখে দেখিয়া শঙ্করস্বামী কিছু বিস্মিত হইলেন। তিনি বলিলেন, “তুমি কোথায় ছিলে, অজয় ?” “ঐ গাছের ডালে। আপনি দাদাকে আশীৰ্বাদ করিতে যে ব্যস্ত, আমায় দেখিতে পাইবেন কিরূপে ?” স্বামীজী হাসিয়া বলিলেন, “অজয় চিরকাল ছেলেমানুষটির মত থাকিব ! সব সময়ে কি গাছে চড়া ভাল ?” "তা কি করিব, গুরুজী ! দিনরাত গীতার শ্লোক, পাতঞ্জলের সুত্র, পাণিনির তদ্বিত-ও সব আমার ভাল লাগে না । গাছ, পালা, পাহাড়, নদী, পাখী, ফুল,-এর কাছে কি পুথির লেখা ? গুরুদেব, বাবা যে লোক পঠাইয়াছেন, সে কোথায় ?” "চল, তার কাছে তোমাদের লইয়া যাই ।”