পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য। নাই । সহস্ৰ দুঃখ-দৈন্যের শেলাঘাত সে অবিচলিতভাবে সহ করিয়াছে, অভাবের সহিত সে প্ৰতিদিন সংগ্ৰাম করিয়াছে। অপমানের বেদনা, ক্ষুধার তীব্র জ্বালা তাহাকে প্রতি মুহূর্বেই সহ্য করিতে হইয়াছে, কিন্তু পুত্র দুইটির করুণমুখ দেখিলেই, তাহার সমস্ত জ্বালা জুড়াইত। তাহাদিগকে আদর করিয়া সে অনেক সময় তীব্ৰ অসহনীয় ক্ষুধার যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করিতে চেষ্টা করিত। কিন্তু নিৰ্ম্মম অদৃষ্ট আজ তাহার মাতৃত্বের গৌরবকেও ক্ষুণ্ণ ও চূর্ণ করিতে উদ্যত ! তাহার নয়নের মণি, জীবনের ধ্রুব তারাটিকে তাহার দৃষ্টিপথ হইতে কাড়িয়া লইবার জন্য ব্যগ্ৰ । সে অতি দীন, অতি দরিদ্র, তাহার বিরুদ্ধে অদৃষ্টর এ নিষ্ঠুর চক্রান্ত কেন ? বড় পুত্রটি ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখিয়া কাদিয়া উঠিল। মোক্ষদার স্নেহসিন্ধু উছলিয়া উঠিল। সে অতি সন্তৰ্পণে শিশুটিকে বুকের উপর তুলিয়া লইল। আঃ, কি স্নিগ্ধ স্পর্শ । বুক জুড়াইয়া যায় ! এমন রত্নকে কে পরের হাতে তুলিয়া দিতে পারে ? শিশু কেঁপাইয়া ফোপাইয়া শেষে মাতার স্নেহাতুর বক্ষের উপর আবার নিশ্চিন্তভাবে নিদ্রা গেল । মাতার বক্ষঃস্পন্দনের সহিত পুত্রের বক্ষঃস্পন্দন মিলিত হইল। ওরে যাদু, ওরে সোনা, অঞ্চলের নিধি ! কোন পাষাণী, কোন অভাগী তোর মত রত্নকে অগাধ জলে বিসর্জন দিতে পারে ? দুঃখিনী দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা মাগিয়া তোদের খাওয়াইবে, তবু তোরা মার কোল আলো করিয়া বসিয়া থাক। যদি S 3V9