পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য। একাপ্তই মৃত্যু আসে, সকলে এক সঙ্গে মহাযাত্ৰা করিব। মোক্ষদা কি মৃত্যুকে ভয় করে ? কিন্তু হায়! মৃত্যু যে চির-বিশ্রাম, অনন্ত শান্তি ! দরিদ্র ত সে সুখের অধিকারী নয়। তাহাকে প্ৰতি মুহুর্তে অভাবজনিত তীব্ৰ-যন্ত্রণা, মৃত্যুর কঠোর শেলাঘাত সহ করিয়া বঁচিয়া থাকিতে হইবে। সে ভীষণ অগ্নি-পরীক্ষণ হইতে তাহার উদ্ধার লাভের আশা কোথায় ? যামঘোষ প্ৰহরের পর প্রহর ঘোষণা করিয়া নীরব হইল । মোক্ষদার হৃদয়ে সমুদ্রমন্থন হইতেছিল, মাথায় আগুন জ্বলিতে ছিল। চিন্তার শেষ নাই। - সুত্রের পর সুত্র অবলম্বন করিয়া চিন্তাজাল বিস্তৃত হয় । মোক্ষাদা ক্রমশঃ সূক্ষ্মতম চিন্তাজালে বিজড়িত ও বিব্রত হইয়া পড়িল । সহসা কে যেন তাহার অন্তরের নিভৃততম স্থানে অঙ্গুলি স্পর্শ করিয়া তাহার চিন্তাকে নূতন পথে পরিচালিত করিল। সে এতক্ষণ অন্ধ জননী-স্নেহে মুগ্ধ হইয়া কেবল নিজের কথাই ভাবিতেছিল । পুত্রের শুভাশুভ কি সে একবারও ভাবিয়া দেখিয়াছে ? পুন্ত্রের চির-আদৰ্শন, ভাবী বিচ্ছেদ-যন্ত্রণার তীব্ৰতা অনুভব করিয়াই সে এতক্ষণ কাতর হইয়া পড়িয়ছিল। পুত্রের মঙ্গলামঙ্গল সে মোটেই চিন্তা করে নাই। মাতৃস্নেহ নিঃস্বাৰ্থ, মহান ও উদার। সে কি সেই উদার নীতি অবলম্বন করিয়াছে ? দারিদ্র্য মনুষ্যত্ব লাভের প্রধান অন্তরায়। সেই চির-দারিদ্র্য, সীমাহীন অভাবের মধ্যে থাকিয় তাহার পুত্র যদি জীবিত থাকে, 88