পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য। কথাটা তখন প্ৰকাশ পাইল । বামিতারণের বিপবী বুদ্ধাকে আশ্বস্ত কবিলেন। শচীন্দ্ৰ ভিতরে আসিলে তাহার কাছে মোক্ষদাকে লইয়! যাইতে অঙ্গীকার করিলেন । রমণী-সদায়ের বেদন রমণী অতি সহজেই বুঝিতে পারে। স্নানান্তে শচীন্দ্ৰনাথ যখন কেশ-প্রসাধনে নিবিষ্টচিত্ত, সেই সময়ে রামত{ারণের বিধবা কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিলেন । ধীরে বীরে বলিলেন, “শচী, তোল গর্ভপারিণী মা তোকে দেখবার ち5 gて不び51" কে ? গৰ্ভপারিণী ! সে আবাব কে ? শচীন্দ্র এরূপ কোনও ব্যক্তিকে ত চেনে না ; সে জানে, তাহার মা নাই । জননীব স্নেহত্ৰেগড় তাহাকে শৈশবেই ঠেলিয়া ফেলিয়া দিয়াছে। অর্থেব লোভে যে পিশাচী সন্তান বিক্রয় করিতে পারে, সে ত মা নহে, সে যে রাক্ষসী । শচীন্দ্ৰ তাহাকে অন্তরের সহিত ঘূণা কবে । রামতারণের বিধবা মমতা-মধুর-কণ্ঠে বলিলেন, “আহা মারা প্ৰাণ কত কাল দেখেনি ; সন্তানের মায়া কি ভোলা যায় वृह्रैद्र कि कछे !” কষ্ট ? যে পুত্ৰস্নেহ পদদলিত করিয়া সন্তানকে জন্মের মত বিসর্জন দিতে পারে, তার কি হৃদয় আছে যে, কষ্ট হইবে ? অন্যে বিশ্বাস করে করুক, কিন্তু শচীন্দ্র এমন অন্যায় বিশ্বাস করিতে আদৌ প্ৰস্তুত নহে । কি আশ্চৰ্য্য ! সকল সংস্রব যাহার সহিত চিরদিনের নিমিত্ত ছিন্ন হইয়া গিয়াছে,