পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি ও প্ৰতিষেধক । সে স্থির করিযাছিল, আপাততঃ পত্নীর সংসৰ্গ হইতে সে দূরে দূরেই থাকিবে । সে ধে স্বামী, পত্নীকে একথা পূর্ণমাত্রায় বুঝিতে দিবার অবকাশ এখন সে কোন ক্রমেই দিবে না। অবশ্য মাঝে মাঝে বালিকার সম্মুখে সে সুন্দর মূৰ্ত্তি খানি লইয়া আবিভূতি হইবে বটে ; কিন্তু পতির কোন প্রকার দাবী লইয নাচে-দীপ্ত বিদ্যুৎ শিখা'র ন্যাষি পত্নীব নব উন্মেষিত হৃদয়গগনে এক একটি রেখা রাখিযা যাইবে মাত্র। সেই ক্ষণিক আলোকদীপ্তি বালিকার হৃদয় রাজ্যকে উদ্ভাসিত করিয়া তুলিবে । মোহমুগ্ধ বালিকা, সেই তীব্র আলোক-দীপ্তির সাহায্যে তাহার আরাধ্য দেবতার মোহন-মুৰ্ত্তির প্রতি ধীরে ধীরে আরষ্ট হইতে থাকিবে । ক্রমশঃ বয়োবৃদ্ধির সহিত বালিকার মন স্বামীর চিন্তায়, তাহাকে লাভ করিবার বাসনায় ব্যাকুল হইয়া উঠিবে। তারপর যখন যৌবন মুকুল পত্নীর দেহলতাকে আচ্ছন্ন করিয়া প্ৰস্ফুটিত হইয়া উঠিবে, প্রণয়-বন্যার উদাম কলোচ্ছাসে হৃদয়তট পরিপ্লাবিত হইয়া যাইবে, এবং যখন মোহময়ী কল্পনা নবযুবতীর মনের সকল অংশে সৌন্দৰ্য্যের সৃষ্টি করিতে থাকিবে, তখন সে স্বামীর সমস্ত অধিকার সহ গৃহলক্ষ্মীর পাশ্বে আসিয়া দাড়াইবে । শিক্ষায়, দীক্ষায় নারীজীবন তখন যে পূর্ণতা প্ৰাপ্ত হইবে, তাহাতে হেমকান্তির আক্ষেপ করিবার আর কিছুই থাকিবে না । তখন সত্য সত্যই সে পন্য হইবে ! 5y (f