পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি না ধৰ্ম্ম ? “তবে কি আজ এতগুলি প্ৰাণী উপবাসী থাকিবে ?” বেদান্তবাগীশ বলিলেন, "মা, যদি তোমার কোনও আপত্তি না থাকে, তাহা হইলে আজিকার রন্ধনশালার ভার আমার উপর দাও । বৃদ্ধ হইয়াছি বটে, কিন্তু এখনও পাঁচশত লোকের অন্ন-ব্যঞ্জন রন্ধন করিতে বোধ হয় কাতর হইব না। এ শুভ কাৰ্য্য হইতে আমায় বঞ্চিত করিও না মা ।” সন্ন্যাসিনীর হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ হইয়া উঠিল। সজলনেত্ৰে উচ্ছসিত-কণ্ঠে তিনি বলিলেন, “আপনি কে জানি না, কিন্তু সত্যই আজ আপনি আমার পিতার কাজ করিলেন । আজ মহাপাতক হইতে আপনিই আমায উদ্ধার করিলেন ।” বেদান্তবাগীশ নানাবলী কট্রদেশে দৃঢ় রূপে আবদ্ধ করিয়া রন্ধনশালার অভিমুথে গমন করিলেন । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । বাক্যে বা ব্যবহারে বেদাস্তবাগীশের নিদারুণ মন্মপীড়ার কথা কখনও ব্যক্তি হইত না । কিন্তু যাহারা নীরবে সহ করে, তাহারা গভীরতররূপে আহত হয়। পুত্রের প্রতারণায় ও নিৰ্দয়া ব্যবহারে পেন্দন্তবাগীশের অন্তরতম প্রদেশে যে শেলাঘাত হইয়াছিল, এই দীর্ঘ কালে তাহার ক্ষত বিলুপ্ত হওয়া দূরে থাকুক, আরও পরিপুষ্ট ও বিস্তৃত হইয়াছিল। যন্ত্রণা বিশ্বত হইবার Rdt