পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মস্তকের মূল্য । সহিত যুদ্ধে পরাজিত হইয়া আওরঙ্গজেব যে সন্ধি করিলেন, তাহাতে জিজিয়া করের মূলে কুঠারাঘাত হইল। সম্রাটু বাধা হইয়া বন্দী দিগকে মুক্তি দিলেন। সে দিন পূর্ণিমা । উৎষ সাগরের তীরে বস্ত্ৰাবাসের বাহিরে পিতা পুত্রের মিলন হইল। রাণী রাজসিংহ সমর সিংহের হস্তধারণ করিয়া বলিলেন, “যুবক, আজ এই আনন্দের দিনে তোমার সেই গানটি একবার গাং । লাজপুতের হৃদয়ে তুমিই নূতন প্ৰাণের সঞ্চার করিয়াছ ।” গান শেগ হইলে সামন্তগণ স্ব স্ব স্থানে ফিরিয়া গেল। রাজসিংহ প্রীতমনে গাযককে আশীৰ্ব্বাদ কবিঘা বিশ্রাম করিতে গেলেন । পুত্রের মুখপানে চাহিয়া পিতা বলিলেন, “অজয় কোথায়, সমর ? তাহাকে দেখিতেছি না কেন ?” সমরের মুখ মলিন হইয়া গেল ! অশ্রুসিক্তনেত্রে সে উৰ্দ্ধে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কি দেখাইল । “ভ্ৰাতার জন্য অজয় প্ৰাণ দিয়াছে ; কিন্তু তাহার মস্তকের মূল্য যে এত অধিক, আওরঙ্গজেব তাহা কল্পনাও করিতে পারেন নাই।” অশ্রুবিন্দু মুছিয়া ফেলিযা পিতা পুত্রকে বুকের উপর টানিয়া লইয়া বলিলেন, “অজয় নাই ; কিন্তু তোমার হৃদয়ে আজ আমি উভয়ের প্রাণস্পন্দন অনুভব করিতেছি দি সত্যের প্ৰতিষ্ঠার জন্য অজয় প্ৰাণ দিয়াছে, এই পবিত্র দিনে তাহার জন্য শোক করিব না ।” v98