পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিদ্বন্দ্ৰী । গাড়ী হইতে নামিতেছি সহসা দেখিলাম, বৈদ্যুনাথের সেই মন্মথবাবু আসিতেছেন । শুনিলাম তাহার মাতুলালয় ভবানীপুরে-আমাদেরই পাড়ার নিকট । তিনি আজ কয়েক দিবস মাতুলালয়ে অবস্থান করিতেছেন । আমি বলিলাম, “দেখা হইয়া ভালই হইল। কাল সন্ধ্যার সময় আমার বাসায় আসিবেন । অনেকগুলি সাহিত্যিক বন্ধু কাল আমার ওখানে শুভাগমন করিবেন।” একটু চিন্তা করিয়া তিনি বলিলেন, “আচ্ছা, চেষ্টা করিব।” আমি বলিলাম, “রাস্তায় বলাটা সঙ্গত হইল বলিয়া মনে হইতেছে না, চলুন আপনাদের রাসায় গিয়া বলিয়া আসি।” মন্মথবাবু ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, “থাক, অনৰ্থক কেন কষ্ট করিবেন। আমার সঙ্গে লৌকিকতা করার কোন প্ৰয়োজন দেখিতেছি না । আমি কাল আসিব ।” বৈদ্যুনাথের ত্ৰিকূট পাহাড়ে, মন্মথনাথের সমক্ষে আমার যে দৈন্য প্ৰকাশিত হইয়া পড়িয়াছিল, তাহার তীব্র স্মৃতি সহস্ৰ চেষ্টাতেও ভুলিতে পারি নাই । সেই দৈন্য কি দূর করিতে পারিব না ? আশ্বিনের “কল্পলতায়” আমার গল্প প্ৰকাশিত না হইয়া কোন এক নগণ্য অনাদিচরণের গল্প স্থান পাইয়াছিল, সেটা সম্পাদক মহাশয়ের ভ্ৰম বশতই ঘটিয়াছিল, প্ৰকারান্তরে সে কথাটা মন্মথবাবুকে বুঝাইয়া দিতে হইবে। সংবাদপত্র সমূহে সেই তুচ্ছ গল্পটার অত প্ৰশংসা যে কেবল, লেখকের s