পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইয়েরমকের যুদ্ধ। ১৩৭ চরিত্রের এই বর্ণনা করিলেন, “উহার রাত্ৰিযোগে উদাসীনদিগের তুল্য ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে উদ্যোগী, দিবভাগে মহাবীরের সদৃশ যুদ্ধকারী ; উহাদিগের মধ্যে কোন রাজকুমার চৌর্য্য ক্রিয়া করিলে সীমান্য চোরের ন্যায় তাহার হস্তচ্ছেদন হয়, এবং পরদারগামী হইলে প্রস্তরাঘাতে র্তাহার প্রাণদণ্ড হয় ৷ ” গলীলদেশস্থ তিবিরিয়া নামক হুদের পুৰ্ব্ব অঞ্চলে ইয়েরযক নামক এক ক্ষুদ্র নদ - আছে, তাহার তীরে অশীতি সহস্র গ্রীক সৈন্য শিবির করিয়া মুসলমানদের অপেক্ষ করিতেছিল। ঐ মুসলমানদের টারি সেনাধ্যক্ষের অধীন কেবল ছত্রিশ সহস্র সৈন্য ছিল। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর সঙ্কট সময়ে সৰ্ব্বাপেক্ষ ঐক্য অবশ্যক, ইহা বুঝিয়। ঐ চারি জন ঐকমত্য হইয়৷ সেই সমরের নিমিত্ত আপনাদের মধ্যে এক জনকে অর্থাৎ খালিদকে প্রধান কর্তৃত্বের সুড়ার সমপর্ণ করিলেন। মহম্মদ ঐ খালিদকে “ ঈশ্বরের তলৰরি ” এই যে উপুধি দিয়াছিলেন, তাহার উপযুক্ততা সেই দিনে প্রকাশ পাইল। মহম্মদীয় সেনাদিগকে সাহসিক করণর্থে খৈবারের যুদ্ধে মহম্মদের যে পতাকা ছিল, সেই পীতবর্ণ পতাক এই ঘোরতর সমরের দিবসে পুনরায় ব্যবহার করা গেল । আর মুসলমানদের মধ্যে দুই দল যুবতী সেই দিনে পুরুষদের ন্যায় যুদ্ধ করিল, বরং পুরুষগণ অপেক্ষ অধিক বীরত্ব প্রকাশ করিল। অবশেষে বিপক্ষ পক্ষের, এক জম সেনাপতি মুসলমানদের পক্ষ হইলে তাহার অধীন গ্রীক সৈন্যগণ বিশৃঙ্খল হইতে লাগিল, তাহ দেখিয়া খালিদ অতিশয় সাহস পুৰ্ব্বক অগ্রসর হইয় শত্রুদের অক্সারোহি সৈন্য