পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদুইন লোকদের বিষয় । ১৯ বেদুইন লোকের প্রাস্তুর মধ্যে অনেক দিনকাল যাপন করাতে তাহাদের দর্শনাদি ইন্দ্রিয় সকল অতিশয় প্রবল হয়। তাহার অন্য আরবীয় লোকদের পদচিহ্ল দেখিয়া জানিতে পারে যে উল্লার আমাদের বংশজ কি না ; আর.উহারা ভারবাহী কি পরিশ্রস্তি, এবং অলপ দিন বা অধিক দিন ঐ পথ দিয়া গমন করিয়াছে কি না ; আর উহারা আপনাদের উষ্ট্রে চড়িয়াছে কি না ; ও সই উষ্ট্র ভারগ্রস্ত কি না, আর দুই তিন জন উষ্ট্রে আরোহণ করিয়াছে কি না ইত্যাদি। তুহারা আপনাদের কোন উঠু চুরি গেলে পাঁচ ছয় দিনের পথ পর্যন্ত তাহার পদচিহ্ল দেখিয়া জানিতে পারে, যে ইহা আমাদের উষ্ট্রের চিকু কি না; এবং এক শত উষ্ট্রের পদচিহ্লের মধ্যহইতে আপনাদের উষ্ট্রের পদচিহ্ল চিনিতে পারে, বেদুইন লোকেরী পাঁচ দিন পর্য্যস্ত জল পান না করিয়াও অবিশ্রান্ত চলিতে পারে। .তাহার খৰ্জ্জুর মাখন কলাই ময়দা ইত্যাদি দ্রব্য ভক্ষণ করিয়া থাকে ; এবং বসন্ত রোগ না জন্মে, একারণ বঙ্গ দেশীয় লোকদের ন্যায় পুৰ্ব্বকালাবধি টীকা দিয়া থাকে। যেমন পুৰ্ব্বে গঙ্গাসাগরের জলে সস্তান নিক্ষেপ করার প্রথা ছিল, সেই মত পাছে আত্ম বালিকারা ভুঞ্জ বা দরিদ্র হয়, এই ভয়ে কোন ২ বেদুইন লোকের তাহাদিগকে জীবন থাকিতেও কবর দিত । সুতরাং কন্যা জন্মাইলেই সকলে অমঙ্গল জ্ঞান করিত। তাহারা তাহাদের মধ্যে কোন ই বালিকাকে প্রান্তরে মেষগণ চরাইতে. নিযুক্ত’ এবং কাহাকেও ও বর্ষ বয়ঃক্রম সময়েই জীবন সত্ত্বে কবরস্থ করিত। বেদুইনদের মধ্যে অনেক প্রকার কম্পিত ধৰ্ম্ম চলিত ছিল; যথা, তাহারা ভূতের