পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমজান মাসের বিধি স্থাপন । Woo করিতে লাগিল । মহম্মদ সকলের সম্মিলন করুণাভিপ্রায়ে তাহাদিগকে এক নুতন ভ্রাতৃত্ব ৰূপ শৃঙ্খলে বদ্ধ করিলেন ; * যথা, কতগুলিন মক্কাস্থ লোক এবং তৎসংখ্যক মদীনা নিবাসি ইহারা তাহার পরামর্শানুসারে প্রত্যেকে দুই ২ জন করিয়া এমত সম্বন্ধ স্থির করিল, যে আমি তোমার, উত্তরাধিকারী হইব, অথবা তুমি আমার উত্তরাধিকারী হইবা, আর আমরা কুশলে ও অকুশলে পরস্পর উপকার করিয়া ধর্মের নিমিত্তে একত্র হইয়া যুদ্ধ করিব, ইত্যাদি। কুটুম্বের বন্ধনহইতেও এই মিত্রতা দৃঢ়তর হইল । এই নিয়ম বদরের সংগ্রাম পর্যন্ত থাকিয় পরে দুই দল একত্র হইল। তৎপুৰ্ব্বে ঐ মক্কীস্থ পলাতকের নিষ্কৰ্ম্ম গ্রযুক্ত লুট করত কাল ক্ষেপণ করিত। কোরান স্বৰ্গহইতে প্রেরিত হইয়াছে, ইহা স্মরণার্থে মহম্মদ রমজান মাসে উপবাস করিবারৰিধান করিলেন। তিনি এই মাসে মুসলমানদিগকে দিবসে আহার করিতে নিষেধ করিয়া বলিলেন, “তোমরা যে পৰ্য্যস্ত শ্বেতবর্ণ ও কৃষ্ণবর্ণ ভূত্রের ভিন্নতা দেখিতে পাও, সে পৰ্য্যস্ত কিছু খাইও না ।” তাহাতে তাহারা সমস্ত দিবস উপবাস থাকিয় রাত্রে উত্তম আহারাদি করত মুখে যাপন করে। মহম্মদ যুদ্ধের বিষয়ে যাহা কোরানে লিখিয়াছিলেন, তাহ অধিক কাল নিষ্ফল রহিল না । প্রথমতঃ, তাহার দুই শত সৈন্য মাত্র ছিল। তৎকালে তিনি শিষ্যগণকে কেবল আপন ২ রক্ষার্ধে যুদ্ধ করিবার আজ্ঞ দিতেন। কিন্তু একাদশ মাস পর্যন্ত মদীন নগরে থাকিয়া তত্ৰস্থ মসৃঞ্জীদ নিৰ্ম্মাণ সমাপ্ত করিলে পরে মহম্মদ সত্তর জন সৈন্য সমভিব্যাহারে লইয়া, আপনি প্রথম যুদ্ধ যাত্রা