পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৫ সপ্তম পরিচ্ছেদ খলিফার স্বাক্ষরিত এই পত্ৰ প্রেরিত হইল । অভি যোক্তাগণও যথারীতি নম্ৰতার সহিত খলিফাকে অভিবাদন করিয়া পত্ৰবাহকের সহিত চলিলেন । আনন্দের অার সীমা রহিল না, খলিফার লিপি পাইয়া কোলাহল করিতে করিতে সকলে ছুটিলেন এবং ব্যস্ততার সহিত মাননীয় জুনদ শাহের হস্তে পত্ৰ অৰ্পণ করিলেন । জনসজস্ব ফতোয়া-প্ৰাপ্তির আশায় চারিদিকে দণ্ডায়মান ,—সতৃষ্ণ নয়নে ‘ফতোয়া-দাতার মুখ নিরীক্ষণ করিতেছেন । এদিকে সুফী জুনোদ শাহ, কিন্তু পূৰ্ব্ববৎ নীরব, নিরুত্তর ও কাতর-ভাবাপন্ন । তিনি প্ৰথমতঃ খলিফা প্রদত্ত পত্ৰখানি সন্মাননার সহিত গ্ৰহণ পূৰ্ব্বক চুম্বন করিলেন, তৎপরে পাঠ করিতে লাগিলেন । কিন্তু কি লোমহৰ্ষণ—কি বেদনাব্যঞ্জক ব্যাপার ! পাঠমাত্ৰ ভঁাহার বিষাদ সিন্ধু উচ্ছসিত হইয়া উঠিল, দরবিগলিত অশ্ৰ-ধারে লিপি অভি সিক্ত হইয়া গেল। ধৈৰ্য্যহীন আগন্তুকের দল ব্যবস্থাদাতার এই লক্ষণ তঁাহাদের আশাপ্ৰদ নহে দেখিয়া, কিছুক্ষণ পরে পুন বৰ্ব্বার খলিফার দরবারে গিয়া অবস্থা জ্ঞাপন করিলেন । স্থিরধী খলিফা তাহাতে বিরক্ত বা কুদ্ধ হইলেন না—ফতোয়ার জন্য পুনঃ অনুরোধপত্ৰ প্রেরণ করিলেন । এইরুপে ছয় বার আগন্তুক দলের আগমন, —ছয় বার পত্ৰ প্রেরিত হইল, তথাপি ‘ফতোয়া” হস্তগত হইল না ,—ফতোয়া-দাতার মনের ভাব পূৰ্ব্বের ন্যায় অপরিবৰ্ত্তিত, অচল ও অটল !—হঁ। কিংবা না, ইহার কোন কথাই ভঁাহার মুখ হইতে বহিৰ্গত হইল না ।