পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ৮৬ এদিকে নগরবাসীদের উত্তেজনার বিরাম নাই । তদৰ্শনে মহামান্য খলিফা সপ্তম বার শাহ জুনদের নিকট পত্ৰ প্রেরণ করিলেন । তখন সেই বৃদ্ধ তপস্বী বিষম বিরক্ত ও বিচলিত হইয়া উঠিলেন, কিন্তু বারংবার রাজাজ্ঞা অবহেলন বা প্ৰত্যাখ্যান করা উচিত বিবেচনা করিলেন না । যদি করেন, তাহা হইলে সাধারণের অপ্ৰিয়ভাজন, দেশ-বিদেশে নিন্দিত এবং খলিফার কোপে পতিত হইলেও হইতে পারেন । বিশেষতঃ পবিত্ৰ ‘শরিয়ত’কে অক্ষু ও গৌরবান্বিত রাখাও সৰ্ব্বাগ্ৰে কৰ্ত্তব্য । মনো মধ্যে এইরুপ নানা চিন্তার অাবিৰ্ভাব হওয়ায় তিনি পরিশেষে বাধ্য হইয়া ব্যবস্থা প্ৰদান করিতে উদ্যত হইলেন । তখন তিনি আল্লাহ--তা’লার পবিত্ৰ নামোচ্চারণ পূৰ্ব্বক প্রথমতঃ সুফীর সজা ( আধ্যাত্মিক পরিচ্ছদ ) পরিত্যাগ করিয়া লৌকিক কাজীর পোষাক পরিধান করিলেন । অনন্তর িচন্তিতচিত্তে লেখনী গ্ৰহণ করিয়া সৰ্ব্বাগ্ৰে মহিমময় আল্লার মহান নামের মহত্ব কীৰ্ত্তন করিলেন, পরে কৌশলের সহিত লিখিলেন ,—“যে ব্যক্তি নিৰ্ব্বি কার নিরাকার অদ্বিতীয় আল্লার অংশী স্থাপন করে, ঐশিক দাবী এব নে খাল্লিকানের ইতিহাসে মহৰ্ষির প্রাণদণ্ড হিজরী ৩০৬ সালে এবং শাহ, জুনদের তিরোভাব হিজরী ২৯৮ সালে ঘটে, লিখিত আছে । যদি তাহাই হয়, তবে মনসুরের বিরুদ্ধে তঁাহার ফতোয় প্ৰদান ও তৎসহ তৰ্ক-বিতৰ্ক করা একেবারে অলীক ও অসম্ভব হইয়া পড়ে । এদিকে ‘তাজকেরাতল আউলিয়া” গ্রন্থে মনসুরের প্রাণদণ্ড সময়ে শাহ জুনদের বিদ্যমানতা স্পষ্ট প্ৰমাণিত হইয়া থাকে । এমত স্থলে উক্ত থালিকানের কাল-নিৰ্ণয় অভ্ৰান্ত বলিয়া বিশ্বাস্ত নহে।