পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ‘ফতোয়া’ হস্তগত হইয়াছে, মনস্কামনা সিদ্ধ হইয়াছে ; নগর বাসীদের অার আনন্দের সীমা নাই । খলিফার অাদেশে অাজ মন্‌সুরের প্রাণদণ্ডের দিন । শৃঙ্খলিত মনসুর সশস্ত্ৰ প্রহরী বেষ্টিত হইয়া বধ্য-প্ৰান্তরে অানীত হইয়াছেন । তাই দলে দলে লোক আসিয়া সেই বিস্তীৰ্ণ প্ৰান্তরে সমবেত হইতেছে । ধনী মধ্যবিৎ দরিদ্র, বালক বৃদ্ধ যুবক, পণ্ডিত শিক্ষাৰ্থী মূৰ্খ, মূক খঞ্জ বধির ,— কেহই অার অাবাসে নাই, সকলেই চলিয়াছে, প্রখরগতি নদী-স্ৰোতের ন্যায় মনুষ্য-স্ৰোত চলিয়াছে । রাজপথ জনতাপূৰ্ণ —কোলাহলময়, কল-কল্‌ গল-গল শব্দে সমগ্ৰ বাগদাদ নগর শব্দায়মান, আকাশমণ্ডল প্ৰতিধ্বনিত— গম্‌-গম্‌ করিতেছে । সহস্ৰ সহস্ৰ নরকণ্ঠস্বর একত্ৰ সংমিশ্ৰিত হইয়া এক গম্ভীর শব্দ উৎপাদন করিতেছে। দূর হইতে সেই শব্দ অধিকতর ভীষণ ও গম্ভীর অনুমোদিত হইতেছে । কত জনে কত কথা বলিতেছে । কত বাক্‌বিতণ্ডা, কত হা-হুতাশ, কত শ্লেষ-বিদ্ৰুপ, কত পাণ্ডিত্য প্ৰকাশিত হইতেছে । কেহ উৎফুল্ল নয়নে তামাসা দেখিবার জন্য খল খল করিয়া হাসিয়া বেড়াইতেছে, কেহ বা বিষগ্ৰচিত্তে নীরবে সমবেত মানবমণ্ডলীর কাৰ্য্যকলাপ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছেন । কেহ বা “হা হতভাগ্য মনসুর ! শেষে তোমার ভাগ্যে এই