পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর বিপক্ষতা করিয়া থাকে, এবংবিধ কাৰ্য্য হইতে নিলিপ্ত থাকাই শ্ৰেয়ঃ । তোমার ন্যায় বিজ্ঞ ব্যক্তিকে এ কথাও কি আবার বুঝাইয়া দিতে হইবে ? কিন্তু তথাপি বন্ধুত্ব ও কৰ্ত্তব্যের অনু রোধে বলিতেছি, তোমার উচ্ছ জল প্ৰবৃত্তিকে সংযত কর, আলোড়িত চিত্তকে সুস্থির কর । এখনও নিরস্ত হও, রসনাগ্ৰে সেই অবৈধ উক্তিটীর আর প্রবেশাধিকার দিও না, অন্তর হইতে সেই বিষ্ময়কারী স্মৃতিমূল উন্মলিত করিয়া েফল। দেখি, আজ কোন ব্যক্তি তোমার প্রতিকুলে আর বাক্যমাত্ৰ ব্যয় করিতে অগ্রসর হইতে সাহস করে ? এই যে সমবেত অগণ্য লোক রোষকষায়িতলোচনে তোমার প্রাণ-হরণে—তোমাকে গ্ৰাস করিতে উদ্যত, দেখিবে, এই মুহূৰ্ত্তেই তাহারা পূৰ্ব্বের ন্যায় সাদর সম্ভাষণে তোমাকে হিতবান বন্ধু জ্ঞানে আলিঙ্গন করিবে । তাই বলিতেছি, ভাই ! শান্ত হও, ধৈৰ্য্য ধারণ কর, হৃদয়ে শান্তি স্থাপন করিতে সচেষ্ট হও ।” বাক্যজ্ঞোত রুদ্ধ হইল। মনসুরের কৰ্ণকুহরে বন্ধুর এই শীতল বাক্য প্ৰবেশ করিল বটে, কিন্তু মনোমধ্যে ক্ষণকালের জন্য স্থান লাভ করিতে সমৰ্থ হইল না । বিজনারণ্য রোদনের ন্যায় তাহাতে কোনও ফল দৰ্শিল না। দশিবেই বা কি প্রকারে ? যখন প্ৰেমোদীপ্ত—মোহাভিভূত পতঙ্গ অকৃত্ৰিম প্ৰেমাবেশে ক্ষিপ্ত হইয়া সমুজ্জল দীপশিখা আলিঙ্গন করিতে ধাবিত হয়, কিন্তু যে পতনমাত্ৰই ভস্মসাৎ হইয়া যাইবে, তখন তাহার সে আশঙ্কা বা সে জ্ঞান কি থাকে ? কখনই নহে । সেই জন্যই