পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর আর আমাকে মনসুর বলিয়া ডাকিও না—জানিও না ; এখন আমি আর তোমাদের সেই মনসুর নহি । আমার আমিত্ত্ব কোথায় ? প্ৰেমময়ের সত্তায় আমার অামিত্ত্ব মিশ্ৰিত হইয়া গিয়াছে, ডুবিয়া গিয়াছে । আকাশ পাতাল এক হইয়াছে । একাকার । একাকার! সব একাকার !!! অগ্ৰণ-পশ্চাৎ, দক্ষিণ বাম, উৰ্দ্ধ-অধঃ যে দিকেই নেত্ৰপাত করি, সব একাকার দেখিতেছি—এক ভিন্ন দ্বিতীয় নাই । যদিও সংপ্ৰতি আমি মনসুর নামে অভিহিত, কিন্তু সেই একের একত্ব হইতে স্বতন্ত্ৰ পদাৰ্থ নহি । আমার এই শরীরে সেই অদ্বিতীয়ের ঐশ্বৰ্য্য গুপ্ত নাই এবং এই নামে তাহার অপূৰ্ব্ব মাহাত্ম্য অপ্ৰকাশ নাই ! হায় হায় ! বাহা দৃশ্য দেখিয়াই জগৎ বিমোহিত । আভ্যন্তরিক মধুর ভাব দেখিতে জগতের চক্ষু নাই, অথবা অসমৰ্থ। কাহারও কি চক্ষু নাই ? কেহই কি স্পপৃহণীয় গুপ্ত রহস্যোভেদ করিতে সমৰ্থ নহে ? সুগভীর রত্নাকর-গৰ্ভস্থিত মহামূল্য মুক্তা উত্তোলন করিতে ক্ষমবান ডুবারি কি একেবারেই বিরল ? অথবা হইতে পারে, জগৎ এ তত্ত্ব অনবগত ! কিন্তু আর বিলম্ব নাই ; শীঘ্ৰই এ কথা চতুৰ্দ্দিকে বিঘোষিত হইবে, জগতের নর-নারীর কৰ্ণে বাজিবে—চক্ষুষ্মান প্রেমিকগণের নিকট এ দৃশ্য প্ৰতিভাত হইবে । অচিরে অামি আত্ম-বলিদান করিয়া আপনাকে নিরস্তিত্বে পরিণত করিব, সেই মহান প্রেমিকের প্রেমের জীবন বিসৰ্জন করিয়া পরম সুখকর নবজীবন লাভসহ চিরস্থায়ী অমূল্য ধন প্ৰাপ্ত হইব । আহা ! প্ৰেমে যে ব্যক্তি পরিপক—