পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

99 নবম পরিচ্ছেদ করিতেছে। তথাপি অনাবশ্যক কাল অতীতের গহবরে ডুবিতে চাহিতেছে না—ঈসিত কালের দেখা হইতেছে না । কিন্তু কিছুই চিরস্থির নহে । দেখিতে দেখিতে ত্ৰিযামার যামব্ৰয় অনন্তের গৰ্ভে অলক্ষ্যে বিলীন হইয়া গেল । শ্বেতরশ্মি নিশাকর ক্লান্ত কলেবরে পশ্চিম আকাশের দিকে ঢলিয়া পড়িল । ক্ৰমে কনককান্তি নক্ষত্ৰকুল আপনাদের জীবনকালের স্বল্পতা উপলদ্ধি করিয়া ত্ৰাসে নিম্প্ৰভ ও ব্যথিত হইয়া টিপু টিপ করিতে লাগিল । এমন সময়ে নিশাবসানের পূৰ্ব্বদূতস্বরুপ মধুরকণ্ঠ বিহঙ্গমসমূহ কলস্বনে দিগন্তের নিস্ততা ভঙ্গ করিয়া দিল । সেই কল কাকলী সুখ-সম্পৰ্শ পবন-বাহনে আরোহণ করিয়া তর-তর-বেগে দূর-দূরান্তে ছুটিয়া চলিল । সহসা উদয়াচল-চুড়া পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক তিমিরারি দিনমণি দিব্য কান্তি দেখাইয়া মৃদুমন্দ পাদবিক্ষেপে নভস্তলে সমুপস্থিত,—রজনী প্ৰভাতা হইল । নিশাবসানের সঙ্গে সঙ্গে—তপনের তরল কিরণচছটায় নীলাকাশ মনোরম অনুরঞ্জিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে মনসুরের কথিত সেই সুধী পুরুষের আগমন-বাৰ্ত্তা জনতার মধ্য হইতে বিঘোষিত হইল । তিনি প্ৰান্তরে লোক-সমাগম দৰ্শন ও তাহাদের বাক্-বিতণ্ডা শ্ৰবণে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইলেন ; শেষে হতাশব্যাকুল মনে মনসুরের দিকে শশব্যস্ত অগ্রসর হইতে লাগিলেন । অসহিষ্ণু জনস্ৰোতও তোহার পশ্চাদনুসরণ করিল। এই সৰ্ব্বজন-সুপরিচিত ধৰ্ম্মপরায়ণ ব্যক্তি মন্‌স্বরের সম্মুখীন হইয়া প্ৰথমতঃ যথাবিহিত সাদর সম্বোধনে তঁহাকে আপ্যায়িত