পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩ নবম পরিচ্ছেদ হউক । আর আপনি হে হিতৈষী সখে ! যদি বাগদাদের আলেমগণ জিজ্ঞাসা করেন, তবে বিনা চিন্তায় ‘শরিয়তে’র বিধানানুসারে আপনিও ইহার “ফতোয়া’ প্ৰদান করিতে কুষ্ঠিত হইবেন না । ” সুবিজ্ঞ শেখ কবির মহৰ্ষি মনসুরের এই তেজোময় বাক্য শুনিয়া একেবারে হতাশ হইয়া পড়িলেন । তিনি বিষম মৰ্ম্ম বেদনা অনুভব করিতে লাগিলেন, তাই অবশেষে মৃদুস্বরে কহিলেন, “ভাই ! আপনার কথা সমস্তই সত্য । উহার মন্তব্য প্ৰকাশ করিতে কাহারও ক্ষমতা নাই । কিন্তু ভাবিয়া দেখুন, কাৰ্য্যটী কি মৰ্ম্মভেদী ! কি বেদনাব্যঞ্জক !! এমত সঙ্কটস্থলে আমাকে “ফতোয়া’ লেখা কি সম্ভব হইতে পারে ?” মন্‌সুর উচ্চ স্বরে কহিলেন, “পারে—পারে—অবশ্যই পারে । শরিয়তের বিধান—ইসলামের হুকুম অমান্য করা আমার বাসনা নহে —আপনারও হইতে পারে না। । শাস্ত্ৰমতে যখন আমি শূলাগ্ৰে৷ প্ৰাণদণ্ডের যোগ্য, তখন আর কথা কি ? তাহাতে নীরব থাকিয়া স্বীয় দুৰ্ব্বলতা ও সঙ্কীৰ্ণতা প্ৰকাশ করা কাহারও কৰ্ত্তব্য নহে । অতএব আমার অনুরোধ, আপনি ‘ফতোয়া” দিতে ইতস্ততঃ করিবেন না ।” এইৰূপ বহুবিধ কথোপকথন হইল । সেই কথোপকথনের ঘাত-প্ৰতিঘাতে উভয়ের মুখ হইতে কত নৈতিক উপদেশ, কত গৃঢ় তত্ত্ব-কথা, কত প্রিয় প্ৰসঙ্গ বাহির হইয়া পড়িল । কিন্তু অল্পবুদ্ধি জনমণ্ডলীর তাহা বুঝিবার হৃদয় কোথায় ? শক্তি