পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ ভয় করিবেন কাহার ? সাগর কি শিশিরের ভয় করে ? মাতঙ্গের মনে কখন কি পতঙ্গের শঙ্কা জন্মে ? আহা ! মহৰ্ষির সে সময়ের ভাব অতি মধুর, অতি গম্ভীর ও প্ৰফুল্লতা ব্যঞ্জক। তাহার মুখমণ্ডল হইতে যেন বিতু্যচ্ছটা বিচ্ছুরিত হইতেছে, শান্তোজল নেত্ৰদ্ধয় কি এক মধুর ভাবে বিভোর হইয়াছে । শত শত নরচক্ষু সেই ভাবময় পুরুষের প্রতি তীব্ৰ লক্ষ্যে আপলকে চাহিয়া রহিয়াছে ! কিন্তু সহসা কি এ অত্যন্ধুত ঘটনা ! ইহা যাদুকরের মোহকরী যাদু হইতেও বিস্ময়জনক ও চমকপ্ৰদ । অকস্মাৎ জলদ-নিৰ্ঘোষে “হক্‌ হক্—আনাল তক্‌” শব্দ সাধারণের কৰ্ণে প্ৰবেশ করিল, পরমুহূৰ্ত্তে চাহিয়া দেখে, মনসুর নাই ! এই ছিল ,—এই নাই। প্ৰাণহারী যমদূতের ন্যায় প্ৰহারিগণ-পরিবেষ্টিত বনদী তপস্বী শত শত লোকের নেত্ৰপথ হইতে অদৃশ্য হইয়া কোথায় চলিয়া গেলেন, তাহা কেহই অনুমান করিতে পারিল না। সকলেই যথাস্থানে এক-ই অবস্থায় দণ্ডায়মান, পিপীলিকা-প্ৰবেশেরও পথ নাই, বাতাস নিঃসারিত হয়, এমন ছিদ্ৰ নাই ; তবে মনসুর কোন শক্তিপ্ৰভাবে কেমন করিয়া কোন পথে পলায়ন করিলেন ? বিদুৎ চম্‌কাইতে যতটুকু সময় লাগে, তদপেক্ষাও স্বল্প সময়ের মধ্যে, মুখের কথা । বিলীন হইতে না হইতে, চক্ষের পলক পড়িতে না পড়িতে এ কি ঘোর পরিবর্তন ! ইহা কি ভৌতিক ঘটনা ? কে বলিতে পারে, ইহা ভৌতিক ঘটনা ! ফলতঃ সকলেই নিথর-নিস্তদ্ধ হইয়া পরস্পরের মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । রসনা নীরস, মুখ ১০৯