পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর ১১০ মলিন, হৃদয় উৎসাহহীন, শরীর অবসন্ন ! সকলেই যেন গতিশক্তিহীন প্ৰস্তরখোদিত প্ৰতিমাবৎ অবশ ও অচল ! কে যেন অকস্মাৎ নয়নে ধাঁধা লােগাইয়া দিল ; পূৰ্ব্বাপর তাবৎ ঘটনা স্বপ্লবৎ বোধ হইতে লাগিল । বিশাল প্ৰান্তর কিছুক্ষণ নিস্তদ্ধ ; আবার ভয়ানক কোলাহল সমুথিত হইল, সকলেই নানা প্ৰকার বাদানুবাদে প্ৰবৃত্ত হইল । মন্‌স্বরের ক্ষমতা অদ্ভুত, এ ক্ষমতা সাধনা-সভূত, বিস্ময়ের একশেষ এ দৃশ্য ইত্যাদি অনেক কথা বলিয়া অনেকে তাহার প্ৰশংসা-গান করিল । নিরীহ ধৰ্ম্মসেবকেরা “হা অাল্লাহ ! তুমিই মহান !” বলিয়া প্ৰসন্নমনে প্ৰেমাশ্ৰ বৰ্ষণ করিলেন । কিন্তু মন্‌সুরের বিপক্ষ দলের মুখ রোষে, ক্ষোভে, লজায় ও অপমানে মলিন—অনবত । “পিঞ্জরাবদ্ধ ব্যাঘ্ৰ পলায়ন করিয়াছে, হায় ধৰ্ম্মাবমাননার বুঝি আর প্রতীকার হয় না !” চঞ্চলমতি গোঁড়ার দল ইহাই ভাবিয়া আকুল ও রোষাম্বিত হইল। অনন্তর কি কৌশল করিলে মনসুরকে আবার হাজির করা যাইতে পারে, তদ্বিষয়ে মন্ত্ৰণা চলিতে লাগিল ; কিন্তু কেহই ভাবিয়া কোন সূক্ষ উপায় বাহির করিতে পারিল না । তখন প্ৰধান পক্ষীয়েরা পরামৰ্শ করিলেন, “মনসুরের প্রতি কটক্তি ও তৎপক্ষীয় লোকদের উপর অত্যাচার করিলে নিশ্চয় তাহার পুনৰ্দৰ্শন পাওয়া যাইতে পারিবে । তিনি এই স্থানে আমাদের মধ্যেই ‘গায়েব’ হইয়া আছেন, কিন্তু আমাদের মন্ত্ৰমুগ্ধ নয়ন তাহাকে দেখিতে পাইতেছে না ; ফলতঃ এ কাৰ্য্য করিলে তিনি