পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৩ দশম পরিচ্ছেদ শুনিতে পাইয়া থাকি, কিন্তু প্রেমের প্রকৃত অৰ্থ কি, কেহই জানে না । । আপনাকে সাধারণ্যে তাহা প্ৰকাশ করিতে অনুরোধ করি ।” মহৰ্ষি মৃদুহাস্তে কহিলেন, “প্রিয় বন্ধু ! প্ৰেমের অৰ্থ কি আপনি এখনও বুঝিতে পারেন নাই ? তবে শুনুন, প্ৰকৃত প্রেমের অৰ্থ-প্ৰাণদান অথবা হত্যা ও সৰ্ব্বসমক্ষে প্ৰেমিকের শব-দাহ করা । শীঘ্ৰই এ ঘটনা দেখিতে ও বুঝিতে পাব্লিবেন ।” আবার প্রশ্ন হইল, “মারফতের ( আধ্যাত্মিক তত্ত্বের ) অৰ্থ কি ?” এই প্রশ্নের উত্তরে মহৰ্ষি মৃদুভাবে কহিলেন ,—“ইহার অৰ্থ অতি সামান্য, অতি সূক্ষ্ম, রেণু-কণা সদৃশ । যাহা বুবিয়াছেন, সে সমস্ত অলীক চিন্তামাত্ৰ ।” এইরুপ ধীরচিত্তে মহাজ্ঞানী মনসুর বহু লোকের প্রশ্নের সদুত্তর প্রদান করিলেন । অবশেষে তেজস্বী ধৰ্ম্মধবীর প্রসন্নবদনে শূলীদণ্ডের নিকট গমন করিলেন । তখন হুজুক-মাতোয়ারা উজির জল্লাদকে মহৰ্ষির পবিত্ৰ অঙ্গে সহস্ৰ ‘কোড়া” মারিতে অনুমতি করিলেন । যদি তাহাতে তাহার প্রাণবায়ু বহিৰ্গত হয়, উত্তম, নতুবা তদুপরি আবার সহস্ৰ । কোড়া-প্ৰহারের ব্যবস্থা করিলেন । কেননা তাহাই খলিফার অাদেশ । এই আজ্ঞানুসারে পাষাণপ্ৰাণ জল্লাদ উগ্ৰমূৰ্ত্তিতে কঠিন কোড়া-দণ্ড হস্তে লইয়া দণ্ডায়মান হইল । “অহহ ! কি করিসূ—কি করিস, রে নিষ্ঠর, থাম্ থাম, এ কি করিতে যাইতেছিস ,—কোড়া সম্বরণ কর!” জল্লাদের হৃদয়ের ভিতরে সহসা কে যেন এই নিযেধ-ধ্বনি উথিত করিল—তাহার প্ৰাণ কঁাপিল—হাতও যেন অবশ হইল। কিন্তু হইলে কি