পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর ১১৮ রসাতল-তল-সাগরে নিমজিত না হইয়া সেই পাপস্মৃতি এখন পৰ্য্যন্ত হৃদয়ে ধরিয়া আছে কেন, কেমনে বলিব ? বিধাতার চক্ৰ, বিধাতাই জানেন । সহৃদয় পাঠক ! বিদূষী পাঠিকে ! করুণাময় বিধাতার অনুগ্ৰহে কথায় কথায় আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে এত দূর পৰ্য্যন্ত আসিলাম । কিন্তু আর পারি না। —এক্ষণে মহা বিপদ—ঘোর সঙ্কট । কি সঙ্কট ? তাহা কি আবার বলিয়া দিতে হইবে ? যাহার আংশিক অবতারণায় আপনারা শোকে ক্ষোভে ম্ৰিয়মাণ মৰ্ম্ম-বেদনায় সংজ্ঞাশূন্য—অশ্ৰসংবরণ করিতে পারিতেছেন না, সে বিপদের কথা কি এখনও বলিয়া দিতে হইবে ? এমন মৰ্ম্মভেদী ভয়াবহ ঘটনা কেহ কখন দেখে নাই, কাহার নিকটে শুনেও নাই, জগতে আর কখন ঘটিয়াছে কি না, তাহাতেও ঘোর সন্দেহ আছে । হায় কি বলিব, কিছুই স্থির করিতে পারিতেছি না । ভাবিয়া মস্তক ঘুরিয়া যাইতেছে, কল্পনার উদ্ভাবনীশক্তি তিরোহিত হইয়াছে, হস্ত শিথিল ও রসনা অবশ, হাতের লেখনীও কম্পিত । সুতরাং আর কি বৰ্ণনা করিব ? বৰ্ণনা করিবার শক্তি কোথায় ? তাই বলিতেছি পাঠক ! আজি বিষম সঙ্কটে পড়িয়াছি । জানিয়া শুনিয়া—ইচ্ছা করিয়া এমন কঠিন কাৰ্য্যে কি প্ৰবৃত্ত হইতে আছে ? কিন্তু কি করিব, হাত নাই, যে ঔষধ গুলিয়াছি, তাহা গিলিতেই হইবে । মহৰ্ষির সুপবিত্ৰ বাহুদ্বয় ভূপতিত হইয়া ধিরঞ্জিত ও ধুলি-ধূসরিত হইতে লাগিল। তদৰ্শন সেই সহ গুণের