পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাষ মনসুর ১২০ অবিনশ্বর সুখরাজ্য দৰ্শনাৰ্থ ধাবমান, বল দেখি, এ জগতে কে তাহা কাটিতে ক্ষমবান্‌ আছে ?” এইরুপ নানা সংপ্ৰসঙ্গ চলিতে লাগিল এবং তৎসঙ্গে ক্ৰমে ক্ৰমে তাহার অন্যান্য অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ ছিন্ন হইল । অবশেষে—উঃ বলিতে প্ৰাণ শিহরিয়া উঠিতেছে—অবশেষে নয়নযুগল উৎপাটিত ! … কি বীভৎস ঘটনা ! এই নৃশংস ব্যাপারে অনেক পাষাণপ্ৰাণ ব্যক্তি ও অশ্ৰসংবরণ করিতে পালি না। । চারিদিকে হা-হুতাশ পড়িয়া গেল,—“হায়— হায় । উচ্চ রোলে আকাশ ছাইয়া ফেলিল । কিন্তু তবুও করুণ। কোথায় ? দয়া কোথায় ? মমতা কোথায় ? স্নেহ-সহদেয়তা সমবেদনা কোথায় ? এ ভীষণ পাপময় অভিনয়-ক্ষেত্ৰ হইতে যেন সে-সমুদয় চিরবিদায় গ্ৰহণ করিয়াছে । পাঠক ! ঐ দেখ দেখ, অশ্ৰ বৰ্ষণ কর, বুকে আঘাত কর আর দেখ, নিষ্ঠুর জল্লাদ মহৰ্ষির পবিত্ৰ জিহুৱা ছেদন করিতে অগ্ৰসর ! যে জিহবায় দিবারজনী পবিত্ৰ ‘কালাম’ বিরাজ করিত, যে জিহা হইতে কত উপদেশামৃত বৰ্ষিত হইত, পাষণ্ড ঘাতক তীক্ষুধার অস্ত্ৰ দ্বারা তাহা কাটিতে উদ্যত হইল । তখন মহৰ্ষি প্রিয়ভাষে মৃদুস্বরে কহিলেন , “ভাই জল্লাদ ! ক্ষণেকের জন্য অপেক্ষা কর, দুইটী কথা বলিয়া লই, দয়া করিয়া দুইটী কথা বলিবার অবসর আমাকে দাও ।” ঘাতক অসি সংবরণ করিল । তখন রক্তাপুত মাংসপিণ্ডস্থিত মস্তক উৰ্দ্ধমুখে তুলিয়া কাতরকণ্ঠে কহিলেন —“দয়াময় ! এই দুরাচরণের জন্য ইহাদের উপর কুপিত হইও না—পরমপদ প্ৰদানে বঞ্চিত