পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২১ দশম পরিচেচ্ছদ করিও না । কেননা ইহারা যাহা করিতেছে, তাহা তোমারই জন্য—তোমারই গৌরব রক্ষার জন্য করিতেছে বিভো !” এই সময়ে জনতার মধ্য হইতে এক লজাহীন। বুদ্ধা নারী উপস্থিত হইয়া বলিল, “এই সে মনসুর, এই সেই ইসলাম বিরোধী ভণ্ড সাধু ! মার মার, খুব মার, যেমন কৰ্ম্ম, তেমনি শান্তি দাও!” ইহা করিয়া উঠিল এবং বলিয়া চীৎকার ঋষিরাজের প্রতি এক খণ্ড প্ৰস্তুর নিক্ষেপ করিল । মহাত্মা মনসুর তৎশ্ৰবণে জন্মের মত পবিত্ৰ কোরানের ‘আয়াত’ ( শ্লোক ) বিশেষ উচ্চারণের পর আর একবার উচ্চকণ্ঠে ‘অ্যানাল হক্‌’ ধ্বনি করিলেন । আহে৷ সেই ধ্বনির প্রতিধ্বনি দিগদিগন্তরে বিকীৰ্ণ হইতে না হইতে মহৰ্ষির পবিত্ৰ মস্তক দেহবিচ্ছিন্ন হইয়া ধরাশায়ী হইল । সাধক-শিরোমণি ধৰ্ম্মবীর হোসেন মনসুর অবিচলিত চিত্তে হাসিতে হাসিতে সাধুতার পরা কাষ্ঠা দেখাইয়া, খোদা-প্রেমের অতুলনীয় খ্যাতি রাখিয়া সৰ্ব্বসমক্ষে পরাৎপর প্রভুর নামে সুদুৰ্লভ ঋষি-জীবন উৎসৰ্গ করিলেন । * তাহার পুতাত্মা নশ্বর দেহ-বন্ধন বিমুক্ত হইয়া স্বৰ্গীয় সমীরণ সহযোগে অলক্ষ্যে উথান করত সেই নিত্যধামে যোগ্য পাত্ৰে যাইয়া সন্মিলিত হইল,—যে ধামে শান্তি-সুখ, প্ৰেম-পবিত্ৰতা, প্ৰীতি-প্ৰফুল্লতা, আনন্দোৎসব চিরবিরাজমান, যে রাজ্যের প্রজা সকলেই সাম্যভাবাপন্ন, সদা প্ৰফুল্ল—পরম

  • বন্দী হওয়ার এক বৎসর পরে হিজরী ৬০৬ সালে এই নৃশংস কাণ্ড ঘটে ।