পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর সুখী, যেখানে প্ৰেমিকের প্ৰেমাকাঙক্ষা চরিতাৰ্থতা লাভ করে, পিপাসা চিরনিৰ্ব্বাণ প্ৰাপ্ত হয় । আর তাহার দেহ ? অনিত্য অসার—একত্ৰ সংযোজিত পরমাণুসমষ্টি দেহ ? তাহা অনাদরে —অবহেলায়—বিকৃত অবস্থায় নানা নিৰ্য্যাতন ভোগ করুণাৰ্থ ধূলায় ধূসরিত হইতে লাগিল ! কেন তৎপ্ৰতি লক্ষ্য রাখিবেন ? সে দেহের আদরে বা অনাদরে লাভালাভ কি আছে ? কথুক পরিত্যাগ করিলে সৰ্প সে দিকে একবার ফিরিয়াও চাহে না । কিসের আবশ্যক ? কিন্তু পাঠক ! এ সাধারণ কধুক নহে । পবিত্ৰ আধেয় ধারণ করিয়াছিল বলিয়া এক্ষণে সেই কথুক—সেই সুপবিত্ৰ আধার স্বীয় মাহাত্ম্য প্ৰকাশে উদৃপ্ত হইল । তপস্বীর ছিন্ন শির ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ইতস্ততঃ ধূলায় পতিত । নগরবাসীদের অার উদ্বেগ নাই—উত্তেজনা নাই—সমস্ত ক্ষোভ দূর হইয়াছে। কিন্তু এ আবার কি অলৌকিক ঘটনা ! কি এ উদ্বেগ উপস্থিত ! সেই সমস্ত দেহাংশ ও প্ৰত্যেক রক্তকণা হইতে অবিরল ‘আনাল হক্‌’ শব্দ নিৰ্গত হইতে লাগিল । বিরাম নাই, নিমেষে নিমেষে—দমে দমে ‘অ্যানাল হক্‌’ ধ্বনির উথান । এই ঘটনায় অনেক লোক শোকসন্তপ্ত হইল, বিপক্ষদল ক্ষোভে ও অভিমানে ক্ৰিয়মান । কি করিবে, কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া অবশেষে ক্ৰোধান্ধ হইয়া খণ্ডিত দেহ ও ছিন্ন মস্তক অাবার শত শত ক্ষুদ্ৰ অংশে খণ্ড বিখণ্ড করিয়া ফেলিল । কিন্তু তাহাতে আরও বিপরীত কাণ্ড ঘটিল । তাহারা ভাবিয়াছিল, তদ্ৰুপ করিলে সমস্ত জঞ্জাল কাটিয়া যাইবে—