পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ শিক্ষানুরাগ, তোমার চরিত্ৰ-বল, তোমার আলাপ-সম্ভাষণ— সকলই মধুর, সকলই প্ৰশংসনীয় এবং অনুকরণযোগ্য । তোমার হৃদয়-ভাব অতি উচ্চ ও মহান । জগতে পরিশ্রমের পুরস্কার অবশ্যই আছে । অতএব যাও, অবগাহন করিয়া আইস, অ্যাজ আমি তোমাকে কিছু ধৰ্ম্মোপদেশ প্ৰদান করিব।” গুরুর এই অনুকুল বাক্য শ্ৰবণে শান্তশীল মনসুর হৃষ্টচিত্তে মস্তক অবনত করিয়া “যে আজ্ঞা’ বলিয়া প্ৰস্থান করিলেন এবং মঙ্গলময়ের অনুগ্ৰহে অদ্য আমার মনোভিলাষ পূৰ্ণ হইল বলিয়া অবিলম্বে স্নানকাৰ্য্য সমাপনান্তে শুদ্ধচিত্তে হস্তপদাদি প্ৰক্ষালন ( ‘অজু ) পূৰ্ব্বক অঙ্গ শুদ্ধি করত পবিত্ৰভাবে পূজ্যপাদ গুরুর সম্মুখীন হইলেন । তখন মহানুভব সৈয়দ সাহেব শাস্ত্ৰানুমোদিত ব্যবস্থানুসারে মনসুরকে প্ৰথমতঃ ‘তওবাক্ষ করাইয়া লইলেন । পরে ইহ-পরকালের কঠোর যন্ত্ৰণার পরিত্ৰাণ-পথ প্ৰদৰ্শনাৰ্থ তাহাকে একে একে তন্ন তন্ন করিয়া ধৰ্ম্মের যাবতীয় সূক্ষ্ম সূত্র ধরিয়া উপদেশ দিতে লাগিলেন । সাধু-সমাজের সম্পূহণীয় অধ্যাত্মিক গুপ্ততত্ত্বের এরপ বিশদ ব্যাখ্যা করিলেন যে, তাহাতে যেন মহানশক্তি জগৎ-স্ৰষ্টার পবিত্ৰ সত্বা সুস্পষ্ট প্ৰত্যক্ষ করাইয়া দিলেন । ফলতঃ বীজ উৰ্ব্বর ক্ষেত্ৰে নিক্ষিপ্ত হইলে যেরপ ফলপ্ৰসূ হয়, মনসুরের পক্ষে এই গুরুপদেশও তদ্ৰুপ

  • তওবা-অনুশোচনা বা তাপরাধের জন্য জগৎস্ৰষ্টার সমীপে ক্ষমা প্ৰাৰ্থনা

এবং পুনৰ্ব্বার তাহা না করণের দৃঢ়তা ।