পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর ২৮ দয়াময় । অামাকে সেই অবস্থাতেই উন্নতি করিতে শক্তি দান করুন !” এইরুপ বলিতে বলিতে সহসা তিনি তাহার চতুৰ্দিকে কতকগুলি লোক দেখিতে পাইলেন ; অমনি তাহার কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হইল,—কিঞ্চিৎ সস্কুচিত হইলেন ; নিকটে একটিী বালুকাস্তপ ছিল, ত্ৰস্তভাবে তাহারই অন্তরালে যাইয়া অাত্মগোপন করিলেন । কিয় ক্ষণ পরে যখন তিনি দেখিলেন, প্ৰান্তর জনশূন্য হইয়াছে, প্ৰকৃতি নিস্তদ্ধভাব ধারণ করিয়াছে, দৃষ্টিসীমার মধ্যে মানবের চিহমাত্ৰ নাই, তখন তিনি বহিৰ্গত হইয়া আবার ব্যাকুলচিত্তে কাতরকণ্ঠে অবিশ্ৰান্ত প্ৰাৰ্থনায় নিরত হইলেন । ঋষিবর কিছুকাল অজ্ঞাতবাস করিয়াছিলেন । সংসারের আবল্য-জাল হইতে পৃথক থাকিয়া একাগ্ৰচিত্তে ধ্যান-ধারণা করাই যে তাহার এই নিজৰ্জ্জন-নিবাসের প্রধান কারণ ছিল, তাহাতে সংশয় নাই । তৎপরে তিনি পারস্য রাজ্যে গমন করেন । তথায় অবস্থিতিকালে মহৰ্ষি কয়েকখানি তত্ত্বোপদেশপূৰ্ণ উৎকৃষ্ট গ্ৰন্থ প্ৰণয়ন করিয়াছিলেন। উল্লিখিত গ্ৰন্থনিচয় এরাপ গভীর গবেষণা-প্ৰসূত যে, অনেকানেক জ্ঞানবৃদ্ধ পণ্ডিতের বহুদৰ্শনকেও তাহাতে পরাভব স্বীকার করিতে হইয়াছিল । অতঃপর তিনি পরিভ্ৰমণ করিতে করিতে বহুসংখ্যক যাত্ৰিক সমভিব্যাহারে পুনৰ্ব্বার পুণ্যক্ষেত্ৰ মক্কায় আসিয়া উপনীত হন । এবার তিনি মক্কায় অধিক দিন অবস্থান করিতে পারেন নাই । কারণ এক জন নষ্টবুদ্ধি দুরন্ত লোক তাহাকে যাদুকর ভণ্ড যোগী