পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ চলিয়া গিয়া অনন্ত কালের গভীর গৰ্ভে বিলয়প্ৰাপ্ত হইল, জগতের কত স্থানে কত পরিবর্তন ঘটিল, কত মানবের ভাগ্য চক্রের ঘূৰ্ণনে অবস্থার বিপৰ্য্যয় ঘটিল, কিন্তু মনসুরের এই ভাবের পরিবর্তন ঘটিল না ,—স্বভাবের অণুমাত্ৰ ব্যতিক্ৰম হইল না । তিনি পূৰ্ব্ববৎ নিরন্তর নিরাময় নিখিলনাথের ধ্যান-ধারণায় নিবিষ্ট ;—সাধন-সমুদ্রের অন্তস্তলে নিমজিত হইয়া নিজীব জড়পিণ্ডের ন্যায় নিশচল হিলেন । তাহার চতুদিকে শত সহস্ৰ আনন্দোৎসব, সুমধুর বাদ্যভাণ্ড বা কোন রাপ ভীষণ অনিষ্টপাত হইলেও তদীয় চিরায়ত্ত চক্ষু-কৰ্ণ ভ্ৰমেও তদিকে ধাবিত হইত না । ফলতঃ তিনি সংসার-আবল্য-জাল হইতে সম্পূৰ্ণ বিমুক্ত হইয়া, মায়া-মোহ-বন্ধন ছিন্ন করিয়া । অনন্য অন্তঃকরণে খোদার প্ৰেমে উন্মত্ত থাকিতেন । সে প্রেমের মৰ্ম্ম কাহারও নিকট প্ৰকাশ করিতেন না । কিন্তু আগ্নেয়গিরির গহবরে অনলরাশি পরিপূৰ্ণ হইলে গিরি অগ্নি উদগীরণ না করিয়া কি আর স্থির থাকিতে পারে ? পাত্ৰ পূৰ্ণ হইলেই বারি স্বতঃই উচ্ছসিত হইয়া উঠে । আহা ! এক দিবস ধৰ্ম্ম-প্ৰেমোন্মত্ত মনসুর প্রেমের পূৰ্ণ আবেগে অস্থির হইয়া উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করিয়া ফেলিলেন ,—“আনাল হক্‌” ( অহং ব্ৰহ্মা বা আমিই খোদা ) ! উঃ কি ভীষণ অধৰ্ম্মের কথা ! কি পাপের কথা ! কি সম্পৰ্দ্ধাজনক অন্যায় উক্তি !! রক্তমাংসময় নশ্বর মানবে—- ইন্দ্ৰিয়ের অঙ্গলি-সঙ্কেতে চালিত দুৰ্ব্বল মানবে, জল-বিম্ববৎ ক্ষণ স্থায়ী ক্ষুদ্ৰ মানবে ঈশ্বরত্বের অধিকার ! গোস্পদে বিশাল