পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ মাৰ্জনা করিবার পাত্ৰ ছিলেন না । তিনি ন্যায়ের তুলাদণ্ড ধরিয়া বিচার পূর্বক দোষীর দণ্ডবিধান ও নিৰ্দোষ ব্যক্তিকে মুক্তি প্ৰদান করিতেন । তিনি মন্‌সুরের অধৰ্ম্মোক্তির বিষয় অবগত হইয়া প্ৰথমতঃ ‘পাপ—পাপ” বলিয়া মানমুখে কৰ্ণকুহরে হস্তাৰ্পণ করিলেন । পরে অধোবদনে নীরব হইয়া কি এক গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন—কাহাকেও কিছু বলিলেন না । এইরপে বহু ক্ষণ অতীত হইল দেখিয়া আগন্তুকগণের মধ্যে এক ব্যক্তি কৃতাঞ্জলিপুট নিবেদন করিলেন, “আমীরুল মুমনীন ! আপনাকে নিস্তদ্ধ দেখিয়া আমরা ভীত ও বিচলিত হইয়াছি । শাস্ত্ৰসঙ্গত শুভ কাৰ্য্য পালনাৰ্থ পাপ-প্ৰতীকারে নিশ্চেষ্ট থাকার কারণ তো কিছুই বুঝিতে পারি না ! যদি পবিত্ৰ ইসলামকে অক্ষুণ রাখিতে চান, যদি ধৰ্ম্মাবমাননার প্রতিবিধান করিতে চান, পাপীর দমন যদি যুক্তিসঙ্গত বলিয়া বিবেচনা করেন, তবে আর কালবিলম্ব না করিয়া এ বিষয়ের কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারণ করুন । আপনি ধৰ্ম্মের রক্ষক এবং আমাদের প্রতিপালক, আপনি বৈধ ব্যাপারে শৈথিল্য বা অবহেলা প্ৰকাশ করিলে নিৰ্ম্মল ইসলাম-ধৰ্ম্মে কলঙ্ক কালিমা প্ৰক্ষিপ্ত হইবে , “তোঁহীদের ( একেশ্বরবাদের ) গৌরবোন্নত মস্তক অবনত এবং আমাদের উজ্জল মুখ মলিন হইবে। ক্ষুদ্র আমরা, ইহা ব্যতীত আপনাকে আমাদের আর কি অধিক বলিবার ক্ষমতা আছে, জাহাপনা ?” প্ৰজারঞ্জক খলিফা নীরবে সমস্তই শুনিলেন,—বুঝিলেন, তঁহাদের মৰ্ম্মে কি অসহনীয় ভীষণ আঘাতই লাগিয়াছে ।