পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬১ পঞ্চম পরিচ্ছেদ আমি হৃদয় দৃঢ় করিয়াছি। আমার দৈহিক পরমাণু অন্য পরমাণুতে যাইয়া বিলয়প্ৰাপ্ত হউক , ‘মনসুর’ এ হেয় এ অকিঞ্চিৎকর নাম পৃথিবী হইতে মুছিয়া যাউক, তাহাতে আমার কিছুমাত্ৰ দুঃখ বা অনুতাপ নাই । আহা, মৃত্যুকে তো আমি কুশলকামী পরম বন্ধু বলিয়া মনে করি, তীক্ষাগ্ৰ শূলাস্ত্ৰ তো অামার সুখস্থান-প্ৰবেশের সুখময় প্ৰশস্ত সোপান ! তাহা , কবে সে সুখ-সোপানে আরোহণ করিব ? কবে সে আনন্দের দিন আসিবে ? কিন্তু সুখের দিন সহজে অসিতে চায় না, সুখ সহজে ঘটে না, ইহা আমি এখন বুঝিতে পারিতেছি । কারাপতে ! তুমি এখন যাও, এস্থান হইতে প্ৰস্থান কর । অামার প্রিয় কাৰ্য্যের—অামার প্রিয়জনের কাৰ্য্যের প্রতিবন্ধক হইও না ; আমি এখানে থাকিতে অসন্তুষ্ট নহি ।” বুদ্ধিমান জেলরক্ষক মন্‌সুরের সারগৰ্ভ বাক্যের গভীরতা হৃদয়ঙ্গম করিয়া তৎক্ষণাৎ কারাগৃহ হইতে বাহির হইয়া আসিলেন। তখন মহৰ্ষি নিৰ্জ্জনে উপযুক্ত সময় পাইয়া একাগ্ৰচিত্তে যথারীতি ‘অজু অৰ্থাৎ শাস্ত্ৰ-বিধিসঙ্গত হস্ত-পদাদি প্ৰক্ষালন পূৰ্ব্বক অঙ্গ শুদ্ধিক্ৰিয়া সম্পন্ন করিলেন । পরে কায়মনোবাক্যে পরম করুণাময় আল্লাহ -তা’লার উদ্দেশে মস্তক নত করিয়া নমাজে নিমগ্ন হইলেন । তাহার ভক্তির উৎস উচ্ছসিত হইল । তিনি পবিত্ৰ খোদা-প্ৰেমে বিভোর হইয়া একেবারে সম্পন্দনশক্তিরহিত হইলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে উপাসনা সাঙ্গ হইলে তন্ময়চিত্তে হস্তদ্বয় উত্তোলন করিয়া