পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩ পঞ্চম পরিচ্ছেদ তুমি দয়াময়—শান্তিদাতা—স্নেহপ্ৰবণ-হৃদয় । ব্যথিতের যন্ত্ৰণা বুঝিতে, পীড়িতের রোগ-প্ৰতীকার করিতে, তুমি বিনা আর কে আছে ? আমি পীড়িত—অশান্ত, তোমার সন্মিলনের অমোঘ ঔষধ প্ৰদানে আমার চিরাকাজক্ষা চরিতাৰ্থ কর । তোমার বিচ্ছেদ-যন্ত্ৰণায় আমি ম্ৰিয়মাণ, অামার হৃদয় জৰ্জরিত, প্ৰাণ অবসন্ন। আর বিলম্ব সহ্য হয় না ; অাশা পূৰ্ণ কর প্রভো ! অহো ! এ পাপ-নয়নে চতুৰ্দিক অন্ধকারময় দেখিতেছি, মনঃপ্ৰাণ দুৰ্ব্বিষহ যাতনায় হু-হু করিয়া জ্বলিতেছে, হৃদয়ে কে যেন ঘোর বিষবাণ নিয়ত বিদ্ধ করিতেছে । প্ৰভো ? আমার কিরুপ দুৰ্গতি ঘটিয়াছে, তোমার তো তাহা অবিদিত নাই । তুমি তো সমস্তই দেখিতেছ। জীবননাথ ! দেখ, আজ তোমার দাস কিনা উন্মত্ত—পাগল ! মনসুর পাগল । তাই কারাগৃহে বন্দীভাবে অবস্থান করিতেছে। কিন্তু সখে । পরম সুখে আছি । সুগন্ধামোদিত কুসুমোদ্যান অথবা বিবিধ চিত্ত চমৎকারী বিলাস-সাজ-সজায় সজিত সুন্দর প্রাসাদ, ইহার তুলনায় অতি হেয়—অতি তুচ্ছ । কেননা তোমার জন্যই তো আমার এই অবস্থা । ইহা তোমারি নামের মহিমা-দ্যোতক । সখে ! আমি তোমারই প্ৰেমাকাজী, তোমারই সন্মিলন প্ৰাৰ্থী । তোমারই বিচ্ছেদানল আমার অন্তৰে দিবানিশি ধূ-ধূ করিয়া জ্বলিতেছে ; মিলনের স্নিগ্ধ সুখদ বারিপাতে শীঘ্ৰ সেই তীব্ৰ অগ্নি নিৰ্ব্বাণ কর । হে মালেক ? অার যে বিচ্ছিন্ন থাকিতে পারি না । তোমার এই দৰ্শনোন্মত্তের প্রতি সদয় হও, ক্ষুধাৰ্ত্ত