পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৫ পঞ্চম পরিচ্ছেদ ছেন, তখন বলুন তো, আপনি আবার কোন খোদার উদ্দেশে মস্তক নত করিয়া নমাজ নিৰ্ব্বাহ করিলেন ? যে ব্যক্তি স্বয়ং অচিন্ত্য অনিৰ্ব্বচনীয় সৰ্ব্বশক্তিধর অনাদি পুরুষ, তাহার কি কখন পুরুষান্তরের স্তবস্তুতির আবশ্যক হয় ? না তাহার কেহ উপাস্য থাকিতে পারে ?” উন্মত্ত মনসুর ইহা শ্ৰবণে গম্ভীর স্বরে কহিলেন “ভদ্ৰ ! তোমার এ প্রশ্ন বিবেচনামূলক বটে। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ না করিয়া অসূয়াপরিশূন্য হৃদয়ে কহিলে এ প্রশ্ন সমধিক আনন্দ বৰ্দ্ধক ও প্ৰীতিকর হইত । কিন্তু সে অপরাধ তোমার নহে । মরণধৰ্ম্মশীল অচিরদেহী আহস্কৃত মানবমাত্ৰই কৰ্ম্মক্ষেত্ৰে প্ৰবেশ করিয়া মোহবশ মূলমন্ত্ৰ বিস্তুত হইয়া অঙ্গীকৃত সুব্যবস্থার বিশৃঙ্খলা ঘটাইয়া ফেলে এবং অশুভপ্ৰদ অপকৰ্ম্মকে পরম কল্যাণকর কাৰ্য্য বলিয়া জ্ঞান করিয়া থাকে । ফলে এক্ষণে হৃদয়কে সরল পথে চালাও, আমার বাক্য প্ৰণিধান কর । অামি নিজেরই উপাসনা—নিজেরই স্তবস্তুতি নিজে করিয়া থাকি । অামার ‘নমাজে' অামারই প্ৰাৰ্থনা করা হইয়া থাকে । আমি নিজেই উপাস্য—নিজেই উপাসক, নিজে শিষ্য—নিজে গুরু, নিজে অনুসন্ধানকারী—নিজেই অনুসন্ধয় বস্তু, নিজে প্ৰেমিক—নিজেই প্ৰেমাস্পদ, নিজে চাকচিক্যশালী ক্ষুদ্ৰ বালু কণা—নিজেই বিরাটবপূৰ্ণ পৰ্ব্বত, নিজে কিরণকণিকা—নিজেই অননুমেয় প্ৰকাণ্ড জ্যোতিঃ-পদাৰ্থ, নিজে ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ হইতে বৃহত্তম । আমি স্বয়ং অপার অনন্ত মহাসমুদ্ৰ,