পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ আশ্ৰয় গ্ৰহণ করিলে তাহাদের শরীরের তাপ ও হৃদয়স্থিত কলুষরাশি বিদূরিত হইয়া যায় এবং সুবিমল সত্বগুণের সঞ্চরণে তাহারা নিঃসন্দেহে ইহ-পারলৌকিক সুখশান্তি ও সন্তোষ লাভ করিয়া থাকে । বস্ত্ৰাবাসের মধ্যস্থলে মরকত-বিখচিত কমনীয় কনকাসনোপরি জগজন-হিতৈষী, মানবের একমাত্ৰ পরিত্ৰাণপথ-প্ৰদৰ্শনকারী মহাপুরুষ হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা প্ৰসন্ন বদনে স্থিরভাবে উপবিষ্ট আছেন, দেখিলেন । তাহার অলোকসামান্য সৌম্য মূৰ্ত্তির জ্যোতিতে সৰ্ব্ব স্থান উজ্জল হইয়া অপূৰ্ব্ব শ্ৰীধারণ করিয়াছে এবং সেই সুকুমার স্বৰ্গীয় শরীরের সেগন্ধে দশ দিক্‌ প্ৰমোদিত করিয়াছে । হজরতের চতুস্পার্থে পবিত্ৰ ইসলামের গেীরব-মুকুট-স্বরপ ধৰ্ম্মপ্ৰাণ দরবেশ ও শহীদ বৃন্দ যথাযোগ্য আসনে নতভাবে আসীন রহিয়াছেন। সভার শোভা অতি রমণীয়, যেন সুবিমল নভোমণ্ডলে সংখ্যাতীত কাঞ্চনকান্তি নক্ষত্রের সমাবেশ, মধ্যস্থলে অকলঙ্ক শশধর ভুবনমোহনরাপে বিরাজ করিতেছেন । সভাস্থল নীরব, সভাসদৃবৰ্গ নিস্তদ্ধ । সহসা বস্ত্ৰাবাসের এক স্থানে একটী অতি সূক্ষ্ম ছিদ্ৰ পরিলক্ষিত হইল। সেই ছিদ্ৰপথ-মধ্য দিয়া সূৰ্য্যের কিরণ আপতিত হইতে দেখিয়া সমাগত সাধকবৃন্দের সাতিশয় উৎকণ্ঠার আবিৰ্ভাব হইল । কেননা তদদ্বারা ভঁাহারা ক্লেশানুভব করিতেছিলেন। তজ্জন্য তাহারা প্ৰত্যেকেই সেই ছিদ্র রুদ্ধ করণাৰ্থ প্ৰাণপণ শক্তিতে