পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর বহু প্ৰকারে চেষ্টা ও কৌশল অবলম্বন করিতে লাগিলেন । কিন্তু অাশচৰ্য্যের বিষয় এই যে, অশেষবিধ যত্ন ও বহু পরিশ্ৰম করিয়াও সেই সাধন-বল-গরীয়ান মুক্তাত্মগণের কেহই সফল-মনোরথ হইতে পারিলেন না। আহা যে ধৰ্ম্ম-পন্থা-চির-বিচরণশীল কৃতী পুরুষগণ দৈবশক্তি প্ৰসাদে কত কত অসম্ভব ও অদ্ভুত কাৰ্য্য অবলীলাক্ৰমে সম্পাদন করিয়াছেন, কত কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন, আজ তাহারা এই কাৰ্য্যে অকৃতকাৰ্য্য হইয়া নিতান্ত দুৰ্ম্মনায়মান ভাবে নতশিরে অবস্থান করিয়া হিলেন । ছিদ্ৰ-পথ কোনমতেই রুদ্ধ হইল না, সকলের সমবেত চেষ্টা ব্যৰ্থ হইল দেখিয়া জগৎ গুরু পুণ্যপুরুষ হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সকলকে অতি করুণ মৃদুস্বরে আহবান করিয়া কহিলেন,—“হে ইসলাম-হিত-কামী মহামতিগণ ! তোমরা বৃথা চেষ্টা ও বৃথা পরিশ্ৰম করিয়া ক্লান্ত হইতেছে কেন ? তোমাদের প্রয়াস, তোমাদের যত্ন ফলপ্ৰদ হইবে না । আমি ইহা বেশ বুঝিতে পারিয়াছি, যে পৰ্য্যন্ত না হোসেন মনসুর আপন ইচ্ছায় স্বীয় মস্তক ছিদ্ৰ-পথ-তলে অৰ্পণ করিবেন, তদবধি উহা কোনক্ৰমেই অবরুদ্ধ হইবার নহে ।” সেই গরীয়ান দেব-সভায় স্বয়ং মনসুরও একটা আসন পরিগ্ৰহ করিয়া উপবিষ্ট ছিলেন । তিনি নিখিলনাথ-বান্ধব নরকুলহিতৈষী হজরতের প্রমুখাৎ এবংবিধ উক্তি শ্ৰবণ করিয়া হৰ্ষোৎফুল্ল লোচনে সোৎসাহে তৎক্ষণাৎ দণ্ডায়মান হইলেন এবং উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন, “অহা কি অনুগ্ৰহ ! আহা৷ কি স্নেহ-বাৎসল্য ! আহা কি আমার সোঁভাগ্য ! প্ৰভো !