পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ মন্‌সুরের অহম-ব্ৰহ্মবাদিত্বের কথা দেশদেশান্তরে প্রচারিত হইতে আর বাকী নাই । কিন্তু আজ তিনি ধৃত ও বন্দী — প্ৰশান্তভাবে কারাগৃহে অবস্থান করিতেছেন । এই সংবাদ শ্ৰবণে চতুৰ্দিক্ হইতে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক দলে দলে আসিয়া কারাগৃহ-সমীপে সমবেত হইতে লাগিল । বিশাল বাগদাদ নগরস্থ ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰবেত্তা আলেমগণও সেই স্থানে আসিতে ক্ৰটি করিলেন না । ফলতঃ কি সংসার-জ্ঞানশূন্য তরলবুদ্ধি বালক কি কৌতুহলাক্ৰোন্ত বলিষ্ঠ যুবাপুরুষ, কি স্থিরবুদ্ধি বৃদ্ধ, কি পথশ্ৰান্ত পথিক, সকলকেই কোন-না-কোন প্রকার প্রবৃত্তি পরতন্ত্ৰ হইয়া এই জনতার সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে হইয়াছিল । সকলেই কোপ-পরায়ণ, সকলেরই মন্‌সুরের প্রতি রোষকষায়িত দৃষ্টি । কত জনে কত কথা বলিতেছে ; কোলাহলের গম্ভীর ধ্বনি তাল বাধিয়া আকাশে গম্‌ গম করিয়া উঠিতেছে। পরিশেষে কতকগুলি লোক বহু প্ৰকার তীব্ৰোক্তি করিয়া মনসুরের জীবনাশের ষড়যন্ত্ৰে লিপ্ত হইল । সেই স্থানে মহৰ্ষির সহাধ্যায়ী বন্ধু শেখ আবুবকর শিবলীও সমুপস্থিত হইয়াছিলেন । তিনি প্ৰিয় বন্ধুর আসন্ন বিপদের বৃত্তান্ত অবগত হইয়া নিরতিশয় শোকসন্তপ্ত হইলেন । তখন তিনি বাগদাদের সবৰ্ব্ব-লোক-মান্য মহাতাপস সৈয়দ জুনেদ শাহের নিকট আসিয়া ক্ষুদ্ধচিত্তে সমুদয় নিবেদন করিতে আর ক্ষণ-বিলম্ব করিলেন না ।