পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫ সপ্তম পরিচ্ছেদ কথার নিমিত্ত আজ তাপনারা তাহার প্রতি খড়গহস্ত হইয়াছেন —হইবারই কথা । যেহেতু প্ৰদীপ্ত হুতাশন-সন্তাপে পদাৰ্থমাত্ৰই উত্তপ্ত হইয়া থাকে। আবার যদি সেই অগ্নি নিস্তেজ হয় বা একেবারে নিৰ্ব্বাণ প্ৰাপ্ত হয়, তবে তাবৎ বস্তুই শীতল ও শান্তভাব অবলম্বন করিতে দেখা যায় । তাই বলিতেছি, মনসুর যদি ইসলামের বিরুদ্ধ বাক্য উচ্চারণে চিরবিরত থাকে, তবে কি সে ক্ষমার পাত্ৰ নহে ? দোষ মনুষ্যেই করিয়া থাকে, ক্ষমাও মনুষ্যহৃদয়ের এক অদ্বিতীয় মধুর গুণ ! যিনি ক্ষমাশীল, আল্লাহ তা’লার নিকটে তাহার যথেষ্ট পুরস্কার অাছে । তাই বলিতেছি,—আপনারা অবশ্যই শান্ত ভাব অবলম্বনে তাহার অপরাধ মাৰ্জ্জনা করিবেন—তাহার প্রতি দয়া করিবেন । আমার দৃঢ় প্ৰত্যয় আছে যে, তাহার মুখ হইতে ‘শরিয়ৎ’- বহিভূত নিষিদ্ধ বাক্য আর কদাপি বহিৰ্গত হইবে না ।” এই কথা বলিয়া জ্ঞানবৃদ্ধ জুনোদ শাহ মনসুরের নিকট গমন করিলেন এবং শ্ৰীতিপূৰ্ণ বচনে সম্ভাষণ পূৰ্ব্বক কহিলেন, — —“এ কি মনসুর ; সহসা তোমার এমন চিত্তচাঞ্চল্য উপস্থিত হইল কেন ? কোন ঘটনায় তোমার রসনাকে এরুপ ন্যায়-বিরুদ্ধ নিন্দিত বাক্য-স্মরণে বাধ্য করিয়াছে ? স্থিরভাবে ইহার সবিশেষ বৃত্তান্ত আমাকে নিৰ্দেশ করিয়া বল ।” তখন উন্মত্ত মনসুর “আমার এক মুহূর্তেরও অবসর নাই, আমাকে একটু অবসর দিউন !” ইহাই বলিয়া প্ৰসন্নভাবে অন্য দিকে বদন ফিরাইলেন । তদৰ্শনে সৈয়দ সাহেব কথঞ্চিৎ বিরক্ত হইয়া