পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১ সপ্তম পরিচ্ছেদ হইবে না। স্বয়ং মহামান্য মোরশেদ যখন কুশল সাধন করিতে গিয়া অপদস্থ ও নৈরাশ্য-সন্তপ্ত হইয়া প্ৰস্থান করিলেন, তখন আর ইহার মঙ্গল কোথায় ?” এইরুপ নানা জনে নানা কথা উথাপন করিয়া মহৰ্ষির প্রাণ-সংহারের নিমিত্ত অধৈৰ্য্য ও আগ্ৰহাতিশয্য দেখাইতে লাগিল । তখন কতিপয় ধৰ্ম্মাভিমানী ব্যক্তি বলিলেন, “মনসুর মহা পরাধী—প্ৰাণদণ্ডাৰ্ছ সত্য বটে, কিন্তু শাস্ত্ৰানুমোদিত “ফতোয়া” ব্যতিরেকে কাহারও প্ৰাণদণ্ড হইতে পারে না। । তাই বুদ্ধিমান উজির ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যদিগকে একত্ৰ করিয়া “ফতোয়া’ গ্ৰহণ করিলেন । কিন্তু যিনি সৰ্ব্বজনগুরু, সৰ্ব্বশাস্ত্ৰবিশারদ, সুফী-সজের সূৰ্য্য স্বরপ, সেই মহাতপা সৈয়দ শাহ জুনদের অভিমত তে৷ উজির গ্ৰহণ করেন নাই ! এ বিষয়ে তাহার অভিপ্ৰায় অবগত হওয়া নিতান্ত আবশ্যক। ” সকলে এ বিষয়ে পরামৰ্শ করিয়া সৈয়দ জুনেদ শাহের নিকটে গিয়া ব্যবস্থাপ্ৰাৰ্থী হইলেন । তখন জ্ঞানবৃদ্ধ শাহ প্ৰেমান্মত্ত মনসুরের সম্বন্ধে অভিমত দানের কথা শুনিয়া নিম্পন্দ ও নিরুত্তর রহিলেন,—াহার দুই চক্ষু হইতে গণ্ডস্থল বহিয়া অবিরল ধারে অশ্ৰী ঝরিতে লাগিল, তাহার শোক-সিন্ধু উথলিয়া উঠিয়া সহস্ৰ ধারে প্রবাহিত হইতে লাগিল । ঘন ঘন দীৰ্ঘনিশ্বাসে তাহার অন্তরাত্মা আলোড়িত হইয়া উঠিল। এবং তাহাতে যে তিনি । কিরাপ বেদনা বোধ করিলেন, তাহা তদবস্থাপন্ন ব্যক্তি ভিন্ন অপরের বোধগম্য নহে। ফলতঃ তিনি যে অকৃত্ৰিম প্ৰেমান্মত্ত মন্‌সুরের আসন্ন বিপদে মৰ্ম্মান্তিক