পাতা:মহাকবি জয়দেবের গীতগোবিন্দের প্রাকৃত পদ্যানুবাদ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

too বিনিৰ্ম্মত গান শ্রবণ করিয়া অশ্রুজালে ভাসমান হইলেন, এবং ভূয়োভূক্ষ্মঃ রামসুন্দর বাবুর প্রশংসা করিতে লাগিলেন। যদি সাৱ উইলিয়ম জোন্স পণ্ডিতদিগের নিকট না যাইয়া রামসুন্দর বাবুর ন্যায় কোন কলাবতের নিকট গমন করিতেন, তাহা হইলে তঁহার আশা ফলবতী হইত, সন্দেহ নাই। কালনানিবাসী আমাদিগের জনৈক বন্ধুর মুখে জয়দেবের গীত শুনিয়া আমরা অনেক সময়ে মোহিত হইয়াছি। জয়দেবের গীতগোবিন্দকাব্যের সমালোচনা করা আমাদিগের অভিপ্ৰায় নহে। কেন না। আমরা সংস্কৃত গীতগোবিন্দ মুদ্রাঙ্কিত করিতেছি না ! তবে এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি, যে এরূপ ‘মধুর কোমলকান্ত পদাবলী” কোন দেশে কোন ভাষাতে লক্ষিত হয় না। আজ কাল ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলীর নিকট গীতগোবিন্দ যথেষ্ট আদৃত হইতেছে। মহাত্মা সার উইলিয়াম জোন্স প্ৰথমে ইংরাজীতে গীতগোবিন্দের অনুবাদ করেন ; পরে অধ্যাপক লাসেন সাহেব লাটিন ভাষায়, রুকার্ট সাহেব জৰ্ম্মাণ ভাষায়, এবং সম্প্রতি আর্ণােণ্ড সাহেব ইংরাজী পদ্যো ঐ মহাকাব্যের অনুল বাদ প্রচার করিয়াছেন। যে সকল ইউরোপীয় মহাত্মারা আমাদিগের জয়দেবকে আদরে গ্রহণ করিয়াছেন, সেই সকল মহাত্মা আমাদিগের অসংখ্য ধন্যবাদের পাত্র, এবং আমরা চিরকাল তঁহাদিগের নিকট কৃতজ্ঞতা। ঋণে বদ্ধ রহিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, যে গীতগোবিন্দ প্ৰতি বঙ্গগুহে রক্ষিত হওয়া উচিত, তাহা না হইয়া অনেকেই উহার নাম পৰ্যন্তও অবগত্ব नेशन।