পাতা:মহাকবি জয়দেবের গীতগোবিন্দের প্রাকৃত পদ্যানুবাদ.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

te সমাপ্তি হয়, রসময় দাস সেই স্থলে প্ৰায় দুই চারি পাতা লিখিয়াছেন। গিরিখার পয়ার, লঘু ত্ৰিপদী, দীর্ঘ ত্রিপদী প্রভৃতি বিবিধ ছন্দঃ ব্যবহায় করিয়াছেন ; এবং মধ্যে মধ্যে মাত্রাবৃত্তিতে ও পদ্যরচনা করিয়াছেন, সেই কারণ তঁাহার কৃত অনুবাদ বিশেষ কুচিকর বলিয়া প্ৰতীতি হয়। রসময় দাসের রচনা কতকটা মীরাস বলিয়া বোধ হয়, কিন্তু গিরিধারের রচনা যথার্থ রসময়ী। অনুবাদে যতদূর সম্ভবে, গিরিধর জয়দেবের কাব্যের রস এবং মৌলিক ভাব বজায় রাখিয়াছেন। এই সকল বিবেচনা করিয়া আমরা গিরিধারকৃত অনুবাদ জনসমাজে প্রচার করিতে সাহসী হইলাম। সহৃদয় পাঠকবর্গ কর্তৃক উহা সাদরে গৃহীত হইলে আমরা কৃতাৰ্থ হইব। আমরা উপরে রসময় দাসের সম্বন্ধে যে দুই চারিটি কথা বলিলাম, তাহাতে যেন কেহ বিপরীত ভাবেন না। রসময় দাসের নিন্দ করা আমাদিগের উদ্দেশ্য নহে, গিরিধরের অনুবাদ সরস এইটা প্ৰমাণ করাই আমাদিগের উদ্দেশ্য । আমরা জয়দেবের গীতগোবিন্দ ভক্তি সহকারে পাঠ করিয়া থাকি, কিন্তু তথাপি কালিদাসাদির সহিত তুলনা করিয়া জয়দেবকে নিম্ন আসন প্ৰদান করি। সেই প্ৰকার গিরিধরের সহিত তুলনায় রসময় দাস নিয়শ্রেণীর কবি । উভয়েরই কৃত অনুবাদ আমাদিগের গৃহে বৰ্ত্তমান আছে, এৰ প্ৰতি বৎসর সরস্বতী পূজার দিবসে উভয়ই অৰ্চিত হয়। আয় দুই একটী কথা। গিরিধারকৃত গীতগোবিঙ্গের এই সরস অনুবাদ গ্ৰন্থখানি হস্তলিপি হইতে উদ্ধার করিতে বহুল কষ্ট স্বীকার করিয়াছি। মধ্যে মধ্যে এক আধটী চরণ স্বলিত্ব